আদমি পার্টির প্রাক্তন নেতা কুমার বিশ্বাস বুধবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা তাঁর প্রাক্তন সহকর্মী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে খালিস্তান যোগ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। আর এরপরই জনপ্রিয় এই কবিকে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে সরকার। জানা গিয়েছে, সরকার তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখখে। সূত্রের খবর, ‘সরকার আপাতত কুমার বিশ্বাসের নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পর্যালোচনার পর তাঁকে সুরক্ষা দিতে পারে সরকার।’
উল্লেখ্য, দুই দিন আগে বিশ্বাস দাবি করেছিলেন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল পঞ্জাবের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থক ছিলেন। কুমার বিশ্বাস বলেন যে কেজরিওয়াল একবার তাঁকে বলেছিলেন যে তিনি হয় পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হবেন বা স্বাধীন খালিস্তানি দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হবেন। নির্বাচনে জিততে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাহায্য নিতে কেজরিওয়ালের কোনও দ্বিধা নেই বলে দাবি করেছেন কুমার বিশ্বাস।
কুমার বিশ্বাস দাবি করেন, কেজরিওয়াল নিজের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ফর্মুলাও বলেছিলেন তাঁকে। সেই সময় কেজরিওয়াল বলেছিলেন যে আমি ভগবন্ত মান এবং এইচএস ফুলকার মধ্যে লড়াই লাগিয়ে দেব এবং আমি সেখানে পৌঁছে যাব। আজও তিনি সেই পথেই আছেন। একদিন কেজরিওয়াল আমাকে বলেছিলেন, তুমি চিন্তা করো না, আমি একদিন স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী হব। আমি বিচ্ছিন্নতাবাদের কথা বলি। আমি তাঁকে বলি যে আইএসআই, মার্কিন ভিত্তিক সংগঠন শিখস ফর জাস্টিস গণভোট করে পঞ্জাবকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাতে অবশ্য কেজরিওয়ালের কোনও সমস্যা ছিল না। বিশ্বাস জানান, ২০১৭ সালের নির্বাচনের সময় কেজরিওয়ালের সঙ্গে এসব আলোচনা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে মণীশ সিসোদিয়া, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও কুমার বিশ্বাসরা একজোট হয়ে আম আদমি পার্টি শুরু করেন। তবে পরবর্তীতে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে দল ছাড়েন কুমার বিশ্বাস। দিল্লির মুখ্যনমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে কবি কুমার বিশ্বাসের। বর্তমানে সক্রিয় রাজনীতিতে না থাকলেও অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নিয়ে এই বিস্ফোরক দাবি করে পঞ্জাবের রাজনৈতিক মহলে হইচই ফেলে দিয়েছেন বিশ্বাস।