বিমানে করে মানব পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। প্রায় ৩০০জন ভারতীয়কে নিয়ে সেই বিমানটি নিকারাগুয়াতে যাচ্ছিল। আর সেই প্লেনে দু বছর বয়সি একটা বাচ্চাও ছিল। সে গুজরাটের বাসিন্দা। কিন্তু সেই বাচ্চার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর।
এদিকে গুজরাট পুলিশ ইতিমধ্য়েই সেই বাচ্চাটির খোঁজ শুরু করেছে। তার বাবা মায়েরও খোঁজ চলছে। এদিকে গোটা ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। সিআইডির এক অফিসার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমরা বাচ্চাটির খোঁজ করছি। তার বাবা মা বা অন্য়ান্য অভিভাবকদেরও খোঁজ করছি।
এদিকে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, অনেক সময় গুজরাটের গান্ধীনগর সহ অন্য় জায়গাতে ভুয়ো লোকজনকে বাবা মা সাজিয়ে অন্যের বাচ্চাকে নিয়ে অভিবাসী হিসাবে নিয়ে যাওয়া হয়। এর জেরে আমেরিকায় অ্যাসাইলামে যাওয়াটা বেশি সহজ হয়। কারণ বাচ্চা থাকলে নিয়মকানুন অনেকটা শিথিল হয়ে যায়।
এদিকে সূত্রের খবর, ওই বিমানে একটি ১০ বছরের ও একটি ১৭ বছর বয়সি নাবালকও ছিল। তাদের সঙ্গেও অভিভাবক কেউ ছিল না।এদিকে ইউএস কাস্টমস অ্য়ান্ড বর্ডার প্রটেকশনের তথ্য় অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০২০-২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ৭৩০জন নাবালককে পরিত্যক্ত অবস্থায় মার্কিন সীমান্তে মিলেছিল। তাদের সঙ্গে অভিভাবক কেউ ছিলেন না।
কয়েকদিন আগেই ফ্রান্সের ভাট্রি বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছিল একটি বিমান। সন্দেহ করা হচ্ছিল, সেই বিমানে করে মানব পাচার করা হচ্ছে। তাতে ছিলেন ৩০৩ জন ভারতীয়। এই আবহে রবিবার এই মামলায় ফরাসি আদালত নির্দেশ দেয়, বিমানে থাকা ভারতীয়রা ফ্রান্স ছাড়তে পারবেন। এদিকে আটক করা বিমানটিকেও ফ্রান্স ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
উড়ান সংস্থার আইনজীবী কথা বলেন ফরাসি প্রশাসনের সাথে। রিপোর্ট অনুযায়ী, যে বিমানে করে এই ভারতীয়দের মধ্য আমেরিকার দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেটি এ৩৪০। রোমানিয়ার 'লেজেন্ড এয়ারলাইন্স' নামক সংস্থার দ্বারা বিমানটি পরিচালিত হয়। অবশেষে সেই বিমানে করেই ভারতীয়দের ফ্রান্স থেকে মুম্বইতে নিয়ে আসা হল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ফ্রান্সের ভাট্রি বিমানবন্দরে জ্বালানি ভরাতে নেমেছিল রোমানিয়ার বিমানটি। সেই সময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিমানটিকে আটকেছিল ফরাসি পুলিশ। জানা যায়, সেই বিমানে থাকা ৩০৩ জন ভারতীয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেই কাজ করতেন। সেখান থেকেই নিকারাগুয়ার এই বিমানে চাপানো হয়েছিল তাদের। সেখান থেকে আমেরিকা বা কানাডায় এই ভারতীয়দের পাচার করা হত বলে দাবি করা হয়।