আর্থিক সঙ্কটের রেশ কাটতে না কাটতেই বিধ্বংসী বন্যায় নাজেহাল পাকিস্তান। এরই মধ্যে সে দেশের মুদ্রাস্ফীতি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় আরও বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পাক সরকার। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। দেশের বিধ্বংসী অর্থনৈতিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বন্ধুদেশ গুলি পাকিস্তানকে দেখলেই মনে করে যে পাকিস্তান সব সময় অর্থ সাহায্য চায়।’
আরও পড়ুন: থেকেছেন নির্বাসিত, খেটেছেন জেল, এবার হবেন পাক প্রধানমন্ত্রী! কে এই শেহবাজ শরিফ?
তিনি আরও বলেন, ‘আজ যখন আমরা কোনও বন্ধুত্বপূর্ণ দেশে যাই বা ফোন করি, তখন তারা মনে করে যে আমরা টাকা ভিক্ষা করতে এসেছি।’ তাঁর প্রশ্ন, ৭৫ বছর পর পাকিস্তান আজ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে? এমনকি ছোট অর্থনীতির দেশও পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। আর আমরা গত ৭৫ বছর ধরে ভিক্ষার বাটি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি।’ পাক প্রধানমন্ত্রী সে দেশের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে পূর্ববর্তী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকারকেই দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ, খানের সরকার ইন্টারন্যাশনাল মনেটারি ফান্ডের (আইএমএফ) সঙ্গে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। যারফলে বর্তমান সরকারকে কঠোর শর্ত মেনে চলতে হচ্ছে। এমনকি শর্ত পূরণ না হলে আইএমএফ তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের হুমকিও দিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা কতটা খারাপ তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শেহবাজ বলেন, ‘আমরা যখন এপ্রিলে ক্ষমতা গ্রহণ করি তখন পাকিস্তান ঋণর খেলাপির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। তবে আমরা কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে দেশকে ঋণ খেলাপির হাত থেকে বাঁচিয়েছি। এখন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’