একের পর এক 'অসার' মামলা কার্যত ‘অকেজো’ করে দিচ্ছে আদালতকে।সোমবার এমনটাই উঠে এসেছে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে। মঙ্গলবার জাস্টিস ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় ও এমআর শাহর বেঞ্চ একটি ক্রেতা সুরক্ষা সংক্রান্ত মামলা প্রসঙ্গে এই বিশেষ মন্তব্য় করেছেন।আদালত সূত্রে খবর, গত মার্চ মাসে এই মামলা গুটিয়ে ফেলা হয়েছিল, তারপরেও একই বিষয় নিয়ে ফের নতুন করে আবেদন করা হয়েছে।
জাস্টিস চন্দ্রচূড়ের নজরে আসে, এই মামলাটির ফাইনাল অর্ডার আগেই হয়ে গিয়েছে, পিটিশনার যেটি চেয়েছিলেন সেই অনুসারেই হয়েছে, তারপরেও নতুন করে আবার আবেদন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ঠিক এইজন্যই সুপ্রিম কোর্ট ঠিকঠাকভাবে কাজ করতে পারছে না।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল কোভিড ১৯নিয়ে একটি স্বতপ্রণোদিত মামলার অর্ডার বের করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা করা যায়নি। কারণ আজকের শুনানির জন্য আমাকে পড়াশোনা করতে হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে ৯০ শতাংশ মামলাই অসার।’ বিচারকের দাবি,'এইসব অসার বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় আদালতের নেই। এই ধরণের সময় নষ্ট মানে যেন এটাই বোঝানো হচ্ছে বিচারকদের অনেক সময় আছে। সিরিয়াল ব্যাপারেই সময় দেওয়া উচিৎ।' ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বহু মামলা বকেয়া পড়ে থাকে আদালতে। এজন্য ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে। কিন্তু বাস্তবে নানা গুরুত্বহীন মামলাও উঠে আসে আদালতে। এদিকে সেইসব মামলার শুনানি করতে গিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এমনকী জাতীয় স্বার্থের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক মামলার শুনানিতে দেরি হয়ে যায়। কম গুরুত্বহীন মামলার পাহাড়ে চাপা পড়ে যায় গুরুত্বহীন একাধিক মামলা। কার্যত সেকারণেই সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ।