ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকেই রকেট গতিতে ছুটছে জ্বালানি তেলের দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলারের গণ্ডি বহু আগেই ছাড়িয়ে গিয়েছে ক্রুড তেলের দাম। তবে ভারতে এর এখনও কোনও প্রভাব পড়েনি। আসলে উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আবহে বিগত প্রায় চার মাস ধরে দেশে জ্বালানি তেলের খুচরো দাম অপরিবর্তিত। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধির জেরে বর্তমানে লোকসান হচ্ছে জ্বালানি সংস্থাগুলির। এই আবহে শুধুমাত্র লোকসান রুখতে সংস্থাগুলিকে ১৬ মার্চের মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম লিটার পিছু ১২ টাকা ১ পয়সা করে বাড়াতে হবে। সম্প্রতি আইসিআইসিআই সিকিউরিটিজের এক রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যদি সংস্থাগুলি নিজেদের ‘মার্জিন’ রেখে জ্বালানি বিক্রি করতে চায়, তাহলে লিটার পিছু পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়াতে হবে ১৫ টাকা ১ পয়সা।
শুক্রবার আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ছিল ব্যারেল পিছু ১১১ ডলার। এদিকে ভারত যে অশোধিত তেল আমদানি করে তার দাম বেড়ে গত ৩ মার্ট হয় ব্যারেল পিছু ১১৭.৩৯ ডলার। ২০১২ সালের পর এই প্রথম বাস্কেট অফ ক্রুডের দাম এতটা বাড়ল।
আগামী সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনী শেষ হওয়ার পরেই পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম বৃদ্ধি আবার শুরু হতে পারে বলে জানাল জেপি মর্গান। এক রিপোর্টে জেপি মর্গানের তরফে বলা হয়েছে, ‘নভেম্বর থেকে পাম্পে জ্বালানির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আমরা অনুমান করছি যে স্পট ব্রেন্ট এবং ডিজেলের দামে তেল বিপণন কোম্পানিগুলি লিটার পিছু ৫ টাকা ৭০ পয়সা করে লোকসান করছে৷ আমরা বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করব যে অশোধিত, ডিজেল এবং ফরেক্সের অস্থিরতার কারণে এই সংখ্যাগুলি গতিশীল হবে এবং দিনে দিনে দাম পরিবর্তিত হতে পারে।