এএনআই, শ্রীলক্ষ্মী বি
ভারতীয় বায়ুসেনার গরুড় কমান্ডো স্পেশাল ফোর্সের দুটি টিমকে মোতায়েন করা হল কাশ্মীর উপত্য়কায়। অমরনাথ যাত্রার সময় যাতে সুরক্ষার বন্দোবস্ত যথাযথ থাকে সেকারণেই তাদের মোতায়েন করা হল। কার্যত জঙ্গি হামলা রুখতেই তাদেরকে মোতায়েন করা হয়েছে বলে খবর। পূর্ব লাদাখ সেক্টরে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের সঙ্গে এবার তাদেরও মোতায়েন করা হল। এর আগে ২০১৭ সালে ভারত চিন সীমান্তে ডোকালাম পরিস্থিতির সময় তাদের মোতায়েন করা হয়েছিল।
তবে এর আগে জঙ্গি হানা রুখতে কাশ্মীরে একাধিকবার অপারেশনে গিয়েছিল এই প্রশিক্ষিত বাহিনী। এই বাহিনী পাহাড়ি এলাকায়, দুর্গম এলাকায় অপারেশনে নামতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ২০০৭ সালে প্রথমবার এই বাহিনীকে নামানো হয়েছিল কাশ্মীর উপত্যকায়। এরপর ২০১৭ সালে ফের মোতায়েন করা হয়। একটি এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউতে গার্ড ইউনিটের কমান্ডির অফিসার এএইআইকে একথা জানিয়েছেন।
২০১৭ সালেও এই বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। ভারত-ভুটান আর চিনের মাঝের এলাকা ডোকালাম। ২০১৭ সালে এই ডোকালাম ইস্যুটি ফের সামনে আসে। সেই সময় চিনের বাহিনী এই ডোকালাম এলাকায় নির্মাণকাজ করার চেষ্টা করেছিল।
এএনআইকে গরুড় কমান্ডো স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডিং অফিসার জানিয়েছেন, গরুড় কমান্ডো ফোর্স উপত্যকায় একাধিক অভিযান আগেই করেছে। জঙ্গি নিকেশ করতে নানা অপারেশন চালিয়েছিল বাহিনী। সফলও হয়েছে বার বার। এবার ভারতীয় সেনার সঙ্গেই স্পেশাল গরুড় কমান্ডো ফোর্সের দুটি টিমকে মোতায়েন করা হয়েছে। ২০০৭-২০০৯ এর পরে ২০১৭ সালে শেষ বার উপত্যকায় এই ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, অত্যন্ত প্রশিক্ষিত এই বাহিনী। তবে আমরা আগে তিনজনকে হারিয়েছিলাম।
কমান্ডার জানিয়েছেন, স্পেশাল ফোর্স একটা অশোক চক্র, পাঁচ শৌর্য চক্র,চারটি গ্যালান্ট্রি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।
অনেকেই বলেন, পাহাড়ি, দুর্গম এলাকাতেও জঙ্গিদের নিকেশ করতে একেবারে সিদ্ধহস্ত এই বাহিনী। কার্যত রাতের ঘুম উড়ে যায় জঙ্গিদের। সেই বাহিনীর দুটি টিম এবার নামল কাশ্মীরে।
প্রসঙ্গত গরুড় কমান্ডো বাহিনী হল ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষ ইউনিট। অত্যন্ত দক্ষ এই বাহিনী। বিশেষ ক্ষেত্রে তাদের মোতায়েন করা হয়। প্রথমে একে টাইগার ফোর্স বলা হত। পরে সেটা গরুড় বাহিনী নাম পায়।