২০১৯ সালে বিশেষ প্রভাব না পড়লেও চলতি বছরে ইতিমধ্যে ২০% দাম বেড়েছে সোনার। বিশেষ করে গত বছরের শেষে ২৫% পতনের পরে সোনার এই উত্থানের পিছনে বিনিয়োগ প্রবণতার অবদান স্বীকার করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
শুক্রবার দিনের শেষে এমসিএক্স সূচকে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম দাঁড়ায় ৪৭,৩৫৫ টাকার চেয়ে সামান্য নীচে। পাশাপাশি রুপোর দাম একধাক্কায় কেজিতে ৯০০ টাকা পড়ার ফলে দিনের শেষে এসে দাঁড়ায় ৪৭,৭৪১ প্রতি কেজি। গত মাসে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম রেকর্ড ৪৮,০০০ টাকায় পৌঁছায়। মনে রাখা দরকার, ভারতে সোনার দামের মধ্যে ধরা থাকে ১২.৫% আমদানি শুল্ক ও ৩% জিএসটি।
কোটাক সিকিউরিটিজ সংস্থার তরফে সম্প্রতি জানানো হয়েছে, ‘দুর্বল অর্থনীতির আবহে গ্রাহকের চাহিদা সোনার দামে প্রভাব ফেলে। সংকটকালে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে সোনাকে বেছে নেওয়ার প্রবণতা জীবাণু সংক্রমণ এবং আর্থিক বৃদ্ধির ক্রমহ্রাসমান হারের কারণে আশানুরূপ বাড়েনি। তার ওপরে মার্কিন ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে সোনায় বিনিয়োগকারীদের মুনাফা পেতে অপেক্ষা করতে হবে।’
আন্তর্জাতিক বাজারে গত সপ্তাহে স্পট গোল্ড সূচকে ২% উত্থানের জেরে সোনার দাম প্রতি আউন্স দাঁড়ায় ১,৭৩০.১৯ ডলার। আবার সরাসরি দোকানে বিক্রির হার কম থাকলেও সোনায় ডিজিটাল বিনিয়োগের হার ভারতে বৃদ্ধি পেয়েছে গত সপ্তাহে।
দেশের গোল্ড এক্সচেঞ্চ ফান্ডগুলিতেও গত মে মাসে ৮১৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ এসেছে। গত ২০১৯ সালের অগস্ট মাস থেকে গোল্ড ইটিএফ-এ এ পর্যন্ত বিনিয়োগের পরিমাণ ৩,২৯৯ কোটি টাকা।
বিনিয়োগের ধারা যে বৃদ্ধি পেয়েছে, তা বোঝা গিয়েছে গত বৃহস্পতিবার বিশ্বের বৃহত্তম গোল্ড-ব্যাকড এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড এসপিডিআর গোল্ড ট্রাস্ট-এর মজুত ০.৫% বেড়ে দাঁড়ায় ১,১৩৫.০৫ টনে, যা সাত বছরেরও বেশি সময়ে বৃহত্তম।