ভারতীয় বাজারে দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারল না সোনা এবং রুপো। বুধবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৮,০০০ টাকার নীচে থাকল। জিয়োজিতের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত ৪৭,০৩০ টাকায় সহায়তা পাচ্ছে ১০ গ্রাম সোনা। বাধা পাচ্ছে ৪৯,৩০০ টাকায়। অন্যদিকে, রুপোর দর মোটামুটি অবিচল আছে। এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম পড়ছে ৬৯,১০৩ টাকা।
বিশ্ব বাজারে সোনার দামের অবিচল আছে। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ১,৮০৬.০৭ ডলার দাঁড়িয়েছে। তারইমধ্যে মার্কিন খুচরো বাজারের দর পরিসংখ্যান সামনে আসার পর রাতভর বেড়েছে মার্কিন ডলার সূচক। ১৩ বছরে সবথেকে বেশি মাসিক মার্কিন খুচরো বাজারের দাম বেড়েছে চলতি বছরের জুনে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্বল ইক্যুইটি বাজার, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঊর্ধ্বমুখী করোনাভাইরাস সংক্রমণ এবং শক্তিশালী মার্কিন ডলারের প্রভাব পড়েছে হলুদ ধাতুর উপর। শক্তিশালী মার্কিন ডলারের ফলে অন্যান্য মুদ্রাধারীদের কাছে দামী হয়েছে সোনা। সেই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের সামনে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়ালের বক্তব্যের দিকে তাকিয়ে আছেন লগ্নিকারীরা।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এক আউন্স সোনা ১,৭৮৮ ডলারের স্তরে সহায়তা ধরে রাখলে বুধবার ওঠানামার সাক্ষী থাকবে হলুদ ধাতু। তবে বাড়তে পারে দাম। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ধরে রাখলে বাজার বন্ধের সময় সোনার দাম ১,৮২৪ ডলার হতে পারে। এক আউন্স সোনার দাম অপ্রত্যাশিতভাবে ১,৭৮৫ ডলারের নীচে নেমে গেলে বিক্রির প্রবণতা ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। অন্যদিকে, অন্যান্য মূল্যান ধাতুর মধ্যে দামের হেরফের হযনি রুপোর। সামান্য বেড়েছে হিরের দাম। এক আউন্স রুপোর দাম পড়ছে ২৫.৯৭ ডলার।