ওষুধের দাম নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকেন। বিশেষত যে সব পরিবারে এমন সদ্স্য রয়েছেন, যাঁদের ডায়াবিটিস বা ব্লাডপ্রেশারের সমস্যা আছে, সে সব পরিবারের মাসিক বাজেটের একটা বড় অংশই রেখে দিতে ওষুধের খাতে ব্যবহারের জন্য। ফলে ওষুধের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলে এই সব পরিবারের সদস্যরা চাপের মুখে পড়েন। এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য পদক্ষেপ করল সরকার। কী করা হল সরকারের তরফে?
(আরও পড়ুন: কাজ করছে না ওষুধ! শিশুমৃত্যুর পিছনে বড় কারণ খুঁজে পেল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা)
(আরও পড়ুন: চার বিরল রোগের ওষুধ তৈরি করল ভারত, চিকিৎসার খরচ হয়ে যেতে পারে ১০০ ভাগের ১ ভাগ)
বৃহস্পতিবার The National Pharmaceutical Pricing Authority (NPPA)-এর তরফে ৬৯টি ওষুধের দামের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হল। এই তালিকায় রয়েছে ডায়াবিটিস, ব্লাডপ্রেশারের ওষুধও। যে যে ওষুধের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সেগুলির মধ্যে এমন বহু ওষুধই রয়েছে, যেগুলি কোনও কোনও বাড়িতে নিত্য কেনা হয়। দেখে নেওয়া যাক, এই তালিকায় কোন কোন ওষুধ রয়েছে।
(আরও পড়ুন: হোমিওপ্যাথি ওষুধ খান খোদ রাজা চার্লস! কাকে রাজবৈদ্য মোতায়েন করলেন জানেন)
(আরও পড়ুন: মানসিক রোগের ওষুধ ওলানজাপাইন কাজে লাগে ক্যানসারের চিকিৎসাতেও, বলছে গবেষণা)
• Sitagliptin and Metformin Hydrochloride Extended-Release Tablet: অনেকেই ডায়াবিটিসের ওষুধ হিসাবে এটি খান।
• Olmesartan Medoxomil: ব্লাড প্রেশারের ওষুধ
• Amlodipine: ব্লাড প্রেশারের ওষুধ
• Hydrochlorothiazide: ব্লাড প্রেশারের ওষুধ
(আরও পড়ুন: বেশি প্যারাসিটামল খেলে ফেল হতে পারে লিভার, আর কী বলছে গবেষণার রিপোর্ট)
(আরও পড়ুন: ক্যানসারের যুগান্তকারী ওষুধ আবিষ্কারের দাবি ভারতীয় গবেষকদের, দাম মাত্র ১০০ টাকা!)
কেমন দাম বেঁধে দেওয়া হচ্ছে এই ওষুধগুলির?
বর্তমানে The National Pharmaceutical Pricing Authority (NPPA) এই ওষুধগুলির দামের উর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে। এর Sitagliptin and Metformin Hydrochloride Extended-Release Tablet-এর দামের ঊর্ধ্বসীমা রাখা হয়েছে ট্যাবলেট প্রতি ১৩ টাকা ২৫ পয়সা আর Olmesartan Medoxomil (২০ মিলিগ্রাম), Amlodipine (৫ মিলিগ্রাম) ও Hydrochlorothiazide (১২.৫ মিলিগ্রাম)-এর ক্ষেত্রে ট্যাবলেট প্রতি ৮ টাকা ৯২ পয়সা।
এছাড়াও আরও বহু ওষুধের ক্ষেত্রেই এই সিদ্ধান্ত নিল সরকার। আগামী দিনে এর ফলে অনেকেই লাভবান হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী দিনে আরও বহু ওষুধের দামের ক্ষেত্রেই সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলেও মনে করছেন অনেকে।