ভারতের কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ডিফেন্স অ্যাকাউন্টস রবিবার বলে যে সরকারের নতুন পেনশন বিতরণ ব্যবস্থায় একটি ত্রুটি ছিল যা সংশোধন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, শত শত প্রাক্তন সেনা কর্মীর অ্যাকাউন্টে এই ত্রুটির কারণে ডিআর ঢোকেনি জানুয়ারি মাসের শেষে। দুই দিন আগেই এই প্রসঙ্গে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত করেছিল। একাধিক থ্রি-স্টার অফিসার সহ বেশ কয়েকজন প্রাক্তন সেনাকর্তা ডিয়ারনেস রিলিফ পাননি জানুয়ারি মাসে।
ত্রুটি ঠিক হওয়ার কথা বলে টুইট করে লেখেন, ‘২০২২ সালের জানুয়ারির জন্য SPARSH-এর মাধ্যমে প্রায় ৫ লাখ মাসিক পেনশন সফলভাবে বিতরণ করা হয়েছে। ব্যাঙ্কিং ডেটাতে ত্রুটির কারণে বাদ পড়া ১০৪৮ জন প্রাক্তন সৈনাকর্মীর ডিয়ারনেস রিলিফ না পাওয়ার বিষয়টি রিপোর্ট করার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ত্রুটি সংশোধন করা হয়েছে এবং পরিশোধ করা হয়েছে। এই পদ্ধতি দক্ষ, কার্যকরী, ডিজিটাল।’
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাক্তন কর্মচারীরা তাদের পেনশনের ৩১ শতাংশ সমতুল্য ডিআর পাওয়ার অধিকারী। তবে কেন জানুয়ারিতে সেনাকর্মীদের অ্যাকাউন্টে ৩১ শতাংশ ডিএ ক্রেডিট হয়নি, তা নিয়ে প্রাথমিক ভাবে প্রাক্তন সেনা কর্তাদের কিছু জানানো হয়নি। এই ত্রুটির জেরে কোনও অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল যদি এমাসে ডিআর না পেয়ে থাকেন তাহলে তিনি প্রাপ্য অর্থের চেয়ে ৩১ হাজার টাকা কম পেয়েছেন এমাসে। অপরদিকে কোনও প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট জেনারেলদ নিজের প্রাপ্য থেকে প্রায় ৩৭ হাজার টাকা কম পেয়েছেন এই মাসে।
উল্লেখ্য, অনলাইনে পেনশন দেওয়ার সিস্টেম চালু হওয়ার পরেই প্রাক্তন সেনারা এই সমস্যার সম্মুখীন হলেন। জানা গিয়েছে, এলাহাবাদ-ভিত্তিক প্রিন্সিপাল কন্ট্রোলার অফ ডিফেন্স অ্যাকাউন্টস অনলাইনে পেনশন দেওয়ার বিষয়টির তদারকির দায়িত্বে রয়েছে। নতুন এই পেনশন সিস্টেমটির নাম স্পর্শ (SPARSH) বা সিস্টেম ফর পেনশন অ্যাডমিনস্ট্রেশন। জানা গিয়েছে এই সিস্টেমে ধাপে ধাপে প্রাক্তন সেনাকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই আবহে ডিএ থেকে ব্রাত্য হলেন প্রাক্তন সেনাকর্মীদের একাংশ। জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের পর অবসর নেওয়া সেনা কর্মীরা এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।