শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৪৪তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক। সেই বৈঠক ঘিরে এখন বাংলা বনাম কেন্দ্র তরজা শুরু হয়েছে। বৈঠক নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র অভিযোগ করেন যে তাঁর পর্যবেক্ষণ নিয়ে কথা হলেও বৈঠকে তাঁকেই বলতে দেওয়া হয়নি। তাঁর বদলে সুযোগ করে দেওয়া হয় উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীকে। তবে এবার অমিতের এই অভিযোগ খারিজ করলেন অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
অনুরাগ ঠাকুর দাবি করেন, অমিত মিত্র যা অভিযোগ করছেন, এরম কিছুই বৈঠকে ঘটেনি। এবং এটা খুব দুঃখের যে, অমিত মিত্রের মতো বর্ষীয়ান নেতা এহেন অভিযোগ করছেন। অনুরাগ ঠাকুর দাবি করেন, জিএসটি কাউন্সিল সমস্ত রাজ্যের সম্মিলিত চেতনার প্রতীক। এটা এভাবেই কাজ করতে থাকবে ভবিষ্যতে।
অনুরাগ ঠাকুর দাবি করেন, অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বিগত দুই বছর নির্মলা সীতারমনের সঙ্গে কাজ করে তিনি দেখেছেন যে নির্মলা সীতারমন কাউকেই জিএসটি বৈঠকে চুপ করান না। অনুরাগ বলেন, 'তিনি (নির্মলা সীতারমন) খুব ধৈর্য সহকারে সব বক্তাকে পর্যাপ্ত সময় দেন তাঁদের বক্তব্যে পেশের জন্য। বৈঠক ঘণ্টার পর ঘণ্টা চললেও তিনি কাউকে থামান না।'
এরপর অনুরাগ দাবি করেন, মনে হয় এদিনের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের ভিডিয়ো সংযোগ ভালো ছিল না। রাজস্ব সচিব বারবারই অমিত মিত্রকে জানাচ্ছিলেন যে তাঁর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। তাঁকে ঠিক ভাবে শোনা যাচ্ছিল না। এবং উত্তরপ্রদেশের অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য পেশের সময় অমিত মিত্রকে কেউই শুনতে পারেননি। এর সাক্ষী সবাই রয়েছেন।
তবে অমিত মিত্র তাঁর অভিযোগ জানিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠি লিখেছেন। তাতে অমিত মিত্র লেখেন, 'আমি অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে এই চিঠি লিখছি। আজ জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের শেষদিকে আপনার বক্তব্যে বারবার আমার করা পর্যবেক্ষণ উঠে আসে। আপনি আমার নাম করেই সেগুলি বলেন। আমি তার জবাব দিতে বারবার ফ্লোর চেয়ে আবেদন জানালেও আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি। উলটে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীকে বলার সুযোগ করে দেওয়া হয়। এবং তিনি আমার সেই পর্যবেক্ষণগুলি আমার নাম সমেত মোছার কথা বললে আপনি তা মেনে নেন।'