পেশায় তিনি শিক্ষক। শুধু শিক্ষক বললে একটু ভুল বলা হয়ে যায়। তিনি একেবারে হেডস্যার। সরকারি স্কুলে কর্মরত। রাজস্থানের দুঙ্গারপুর জেলার একটা স্কুলে কর্মরত তিনি। তাকেই আটক করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে একেবারে মারাত্মক অভিযোগ। তিনি ছাত্রীদের ডেকে এনে তাদেরকে যৌন হেনস্থা করতেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগ তিনি রাত দিন পর্ন ছবি দেখতেন। আর তিনি ছাত্রীদের যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণ করতেন বলে অভিযোগ।
একেবারে ভয়াবহ অভিযোগ। ধৃতের নাম রমেশ চন্দ্র কাটারা। পুলিশের টানা জেরায় তিনি কার্যত ভেঙে পড়েন। এরপর একসময় তিনি পুলিশকে জানিয়ে দেন, ছাত্রীদের তিনি চকোলেট ও চিপসের লোভ দেখিয়ে ডেকে আনতেন। মূলত ৮-১২ বছর বয়সি ছাত্রীদের প্রতিই তার বাড়তি লোভ ছিল। এরপর তাদেরকে অশ্লীল ভিডিয়ো দেখাতেন তিনি। এরপরই তাদেরকে তিনি যৌন অত্যাচার করতেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খেলা আয়োজনের নাম করে তিনি ছাত্রীদের স্কুলে ডেকে আনতেন। এরপর একটি ঘরে তাদের বসিয়ে রাখতেন। সেখানেই তাদের উপর যৌন অত্যাচার চলত বলে অভিযোগ। আর যাওয়ার সময় সেই ছাত্রীদের হাতে তিনি কিছু টাকা ধরিয়ে দিতেন। তিনি জানিয়ে দিতেন এই টাকা দিয়ে চিপস, লজেন্স কিনে নিও।
এদিকে পুলিশ তাকে জেরা করে আরও তথ্য় জানার চেষ্টা করছে। এই ঘটনায় আরও ৬জন ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রামবাসীরাই প্রথমে ওই শিক্ষকের কুকীর্তির কথা পুলিশকে জানান। এরপরই পুলিশ তদন্তে নামে। ৩ জুন পুলিশ পকসো আইনে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে। এদিকে যে শিক্ষকের কাছে পড়তে পাঠান অভিভাবকরা, সেই শিক্ষকের এই কীর্তিকে ঘিরে উঠছে নানা প্রশ্ন। তবে কি শিক্ষকের কাছেও সুরক্ষিত নয় ছাত্রীরা?
পুলিশ ইতিমধ্য়েই এই ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপান উতোর তুঙ্গে উঠেছে। বিজেপি নেতৃত্ব রাজস্থান সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।