ভয়াবহ পরিস্থিতি ইউক্রেনে। খারকিভের ভারতীয় মেডিকেল পড়ুয়া আমানজোতের কথা ছিল কিভ থেকে ভারতগামী বিমান ধরার। কিন্তু তার মধ্যেই পরিস্থিতি ঘোরালো হতে শুরু করে। সোমবার তিনি বন্ধু রোহিত আনামুল্লার সঙ্গে কিভ স্টেশনে আসেন। কিন্তু সেখানেই তার পাসপোর্ট সহ অন্যান্য নথি চুরি হয়ে যায় বলে অভিযোগ। তাঁর দাবি, সেই সময় স্টেশনে কোনও হেল্প ডেস্ক ছিল না। দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি তা করতে পারেননি। এদিকে তাঁকে পোল্যান্ড যাওয়ার বাস ধরতে হবে। কিন্তু পাসপোর্ট তো চুরি হয়ে গিয়েছে?
এরপর রোহিত লখনউয়ের এক বাসিন্দা বিজয় মিশ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিজয় মিশ্র গোটা ঘটনা জানিয়েছেন হিন্দুস্তান টাইমসকে। তিনি বলেন, 'আমি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা অমিত খারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গেও যোগাযোগ করি। তাঁরা সহায়তার আশ্বাস দেন।' এর কিছুক্ষণ পরেই পিএমও ও দূতাবাস থেকে ফোন যায় ওই ছাত্রীর কাছে।এরপর দূতাবাস থেকে তাঁকে জরুরী ভিত্তিতে সার্টিফিকেট দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
ওই ছাত্রী জানিয়েছেন, 'আমি অমিত খারে ও বিদেশ সচিব হর্ষ ভি শ্রীংলার কাছ থেকে ফোন পাই।' এরপর শুরু জরুরী ভিত্তিতে কূটনৈতিক পদক্ষপ। শেষ পর্যন্ত পোলিস সীমান্তের কাছে তিনি এমার্জেন্সি সার্টিফিকেট হাতে পান।