'সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের জন্য ভুয়ো খবর প্রকাশ করেছিলেন।' অসমে থেকে দিল্লির সংবাদমাধ্যমের দুই সাংবাদিক সমৃদ্ধি কে সাকুনিয়া এবং স্বর্ণা ঝা'কে আটকের এমনই কারণ দর্শালেন ত্রিপুরা আইজি (আইন-শৃঙ্খলা) অরিন্দম নাথ। সেইসঙ্গে তাঁর দাবি, অমরাবতীর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আটক করা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, একটি সাম্প্রদায়িক ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে অমরাবতী এবং মহারাষ্ট্রের অন্যান্য অংশে সাম্প্রতিক হিংসা থেকে স্পষ্ট যে নির্দিষ্ট স্বার্থ থাকা লোকজন ত্রিপুরায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। সেইসঙ্গে ত্রিপুরা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, উত্তর ত্রিপুরার ফটিক রায় থানার পালবাজারে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়িয়েছিলেন ওই দুই সাংবাদিক। উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় সাম্প্রদায়িক হিংসার প্রতিবাদে শুক্রবার অমরাবতীতে বনধ ডাকা হয়েছিল। তা নিয়ে শহরে হিংসা ছড়িয়েছিল। পরদিন পালটা বিজেপির বনধেও হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। সেই পরিস্থিতিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ অসমের করিমগঞ্জ জেলার নীলমবাজার থানায় ওই দুই সাংবাদিককে আটক করে রাখা হয়। করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার পদ্মনাভ বড়ুয়া বলেছেন, ‘ত্রিপুরা পুলিশের তরফে আমরা লিখিত অনুরোধ পেয়েছি। সেই অনুরোধের ভিত্তিতে তাঁদের গাড়ি অসমে পৌঁছানোর পরই আটক করা হয়েছে। ত্রিপুরায় তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পুলিশের একটি দল আসছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আছে, তাও জানি না আমরা।’
দুই সাংবাদিককে আটক করার প্রসঙ্গে ত্রিপুরা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ত্রিপুরা ছেড়ে যাওয়ার আগে তাঁদের পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করার কথা ছিল। পরিবর্তে কোনও কিছু না জানিয়েই তাঁরা অসমের দিকে রওনা দেন। যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন বলে দাবি করেছেন ওই পুলিশ আধিকারিক। তাঁর দাবি, সেই ভিডিয়োয় গোমতি জেলার একটি ‘পোড়া’ প্রার্থনার ঘর এবং ‘কিছুটা পোড়া’ ধর্মীয় গ্রন্থ দেখানো হয়েছিল। যা ছড়িয়ে পড়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।