সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণ, একজন স্বামীকে প্রয়োজনে শারীরিক পরিশ্রম করে টাকা উপায় করে তাঁর বিতাড়িত স্ত্রী ও তাঁর নাবালক সন্তানদের আর্থিকভাবে সহায়তা করতে হবে। বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী জানিয়ে দিয়েছেন, পরিবারকে সহায়তা করার জন্য় একজন স্বামীকে কাজকর্ম করতে হবে। প্রয়োজন হলে ও তিনি সমর্থ হলে শারীরিক পরিশ্রমও করতে হবে।
সিআরপিসির ১২৫ ধারার কথা উল্লেখ করেছে আদালত। স্বামীর ঘর থেকে বিতাড়িত কোনও মহিলার যন্ত্রণা উপশমের জন্য এই আইনের প্রয়োগ করা হয় বলে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে দেখা যাচ্ছে দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সামাজিক ন্য়ায়কে প্রতিষ্ঠা করা ও নারী ও শিশুদের সুরক্ষার জন্য় তৈরি হয়েছে এই আইন।
দেশের শীর্ষ আদালত ওই ব্যক্তিকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা তাঁর বিতাড়িত স্ত্রীর জন্য় ও ৬ হাজার টাকা তাঁর নাবালক পুত্রের জন্য় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আদালত অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিষয়টি। তবে আগে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট বিষয়টিকে কিছুটা হালকাভাবেই নিয়েছিল।
কার্যত ওই মহিলার পক্ষেই রায় দিয়েছে আদালত। ২০১০ সালে তিনি তাঁর স্বামীর বাড়ি ছেড়ে অন্য়ত্র থাকা শুরু করেন। খোরপোষের জন্য আদালতে দীর্ঘ আইনি লড়াই চালাচ্ছিলেন তিনি।