বুধবার সুপ্রিম কোর্টের কোর্টরুম। আর সেখানেই একেবারে অন্যরকম ছবি। আদালত মানেই যে গুরুগম্ভীর বিষয় সেটা হয়তো সবসময় নয়। সিনিয়র অ্যাডভোকেট দীনেশ দ্বিবেদী ও ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁদের দুজনের মধ্য়ে যে রসিকতা হল তা উপভোগ করলেন অনেকেই।
ওই আইনজীবী বলেন, আমার চুলের রঙের জন্য ক্ষমা চাইছি। এটা আসলে হোলির জন্য হয়েছে। আসলে এটা হল ওই যে গাদা খানেক বাচ্চা আর নাতি নাতনি যদি থাকে তার একটা অসুবিধার দিক। আপনি কিছুতেই আপনাকে বাঁচাতে পারবেন না।
আর সেই রসিকতাটা ধরে ফেলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, আসলে মদ নিয়ে কিছু করারও নেই…
এদিকে একথা শুনেই হাসতে শুরু করেন কোর্ট রুমে উপস্থিত অনেকে। এদিকে সেই হাসিতে অংশ নেন দ্বিবেদী নিজেও। তিনি বলেন, একদম ঠিক বলেছেন। হোলি মানে তো কিছুটা হলেও অ্য়ালকোহল। আমি আবার হুইস্কির ফ্য়ান…এরপরই হাসির ফোয়ারা ওঠে কোর্টরুম। সেই নির্ভেজাল হাসিতে অংশ নেন উপস্থিত আইনজীবীরা।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যালকোহল নিয়ে একটা মামলা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানি হচ্ছিল এদিন। যে অ্যালকোহল পান করা হয় সেটার সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যালকোহলের কী ফারাক! ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যালকোহল উৎপাদনের নানা দিক নিয়েও কোর্ট রুমে শুনানি হচ্ছিল। আইনজীবী দ্বিবেদী উত্তরপ্রদেশের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি জানান যে সমস্ত ধরনের অ্য়ালকোহল সেটা রাজ্য়ের নিয়ন্ত্রণের মধ্য়ে হয়।
তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে কোর্টরুমের ভেতর অত্যন্ত সরস আলোচনায় অংশ নিলেন আইনজীবীরা। এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। তবে আইনজীবীরা এদিন বেশ খোলা মনেই এই হাসির ফোয়ারায় অংশ নেন।