রিপোর্টে ভুল বিবৃতি থাকলেও সেই সাংবাদিককে দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনা অত্যন্ত জঘন্য। এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়ার তিন সদস্যকে এনিয়ে রক্ষাকবচ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মণিপুরের হিংসা সংক্রান্ত রিপোর্টকে কেন্দ্র করে এই মামলা।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, ১৫৩ এ সেকশনের কথা উল্লেখ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, রিপোর্ট ঠিক অথবা ভুল হতে পারে। কিন্তু বাক স্বাধীনতার কথা তো এখানেই বলা হয়েছে। আসলে মৈতেয়ী প্রভাবিত একটি এনজিও অভিযোগ করেছিল কুকিদের পক্ষ নিয়ে একপেশে খবর করা হয়েছে। এনিয়ে তারা আদালতে গিয়েছিল। সেখানে সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে তারা নালিশ করেছিল বলে খবর।
তবে এডিটরস গিল্ডের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে এই মামলা হয়। বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, যে এফআইআর তাদের বিরুদ্ধে করা হয়েছিল সেখানে অপরাধের ফিসফিসানিও নেই।
মৈতেয়ী প্রভাবিত এনজিও এই এডিটরস গিল্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল। তাদের দাবি ছিল কুকিদের পক্ষ নিয়ে খবর করা হয়েছে। এমনকী এডিটরস গিল্ড এফআইআর তোলার ক্ষেত্রে যে আবেদন করেছিল তারও আপত্তি জানিয়েছিল ওই এনজিও।
তবে বিচারপতিদের বেঞ্চে ছিলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা ও মনোজ মিশ্র। বিচারপতিদের বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিয়েছে যদি রিপোর্টও ভুলও হয় তবুও সাংবাদিকদের সেকশন ১৫৩ এ ধারায় অভিযুক্ত করা যায় না।
সেই সঙ্গেই প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, প্রতিদিন প্রচুর খবর গোটা দেশজুড়ে প্রকাশিত হয় সেসব ভুলে ভরা। আমরা কি সমস্ত সাংবাদিকদের ১৫৩ এ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করি? তিনি জানিয়েছেন, ১৫৩ এ ধারায় বলা হয়েছে, ধর্ম, জাতি, জন্মস্থান, বাসস্থান, ভাষার ভিত্তিতে পারস্পরিক শত্রুতা তৈরি হলে তার বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হয়।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা জানিয়েছেন, মণিপুর সরকার কিন্তু এসব নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়। তবে আমার একটাই উদ্বেগ যে এখন যেকোনও সরকার একটা ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৈরি করতে পারে, একটা রিপোর্ট ফাইল করে দেবে, এরপর সুপ্রিম কোর্টে এসে বলবে এফআইআর খারিজ করা হোক। তবে দুপক্ষের তরফ থেকে এই নিজেদের মতো করে গোটা বিষয়টি নিয়ে ব্যাখা দেওয়া এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সেনা এডিটরস গিল্ডকে লিখেছিলেন ও একপেশে খবর নিয়ে বলেছিলেন। সেনা তাদের আহ্বান জানিয়েছিল। তারা এলাকায় গিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে।