মামলা ছিল একটি যৌন হেনস্থার। আর তাতে অভিযুক্ত ছিলেন মালায়লম সাহিত্যিক সিভিক চন্দ্রন। সেই মামলায় অভিযুক্তকে নিয়ে রায় দেওয়ার সময় কেরলের এক সেশন কোর্ট জানায়, ভারতীয় সংবিধানের ৩৫৪ এর এ ধারায় প্রাথমিকভাবে অপরাধটি দাঁড়াচ্ছে না যখন মহিলা যৌন উত্তেজক পোশাক পরে থাকেন। আদালত তাদের এই পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, কেরল হাইকোর্ট এও মনে করে যে ৭৪ বছরের একজন বৃদ্ধ যিনি শারীরিকভাবে পঙ্গু তিনি কোনও মহিলাকে কোলে বসিয়ে নিতে পারেন। উল্লেখ্য, এর আগে আদালতে জামিনের আবেদনের মামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সরব হয় আক্রান্ত মহিলা আদালতের দ্বারস্থ হন। ছবি পেশ করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই সময় কোঝিকোড সেশনস কোর্ট জানায় ছবিতে মহিলাকে উত্তেজক পোশাক পরে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ফলে সেক্ষেত্রে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারার এ অনুযায়ী অভিযপক্তের বিরুদ্ধে ‘প্রাইমা ফেসি’ দাঁড়াচ্ছে না। 'দুষ্মন্তই আগামীর মুখ্যমন্ত্রী', হরিয়ানায় বিজেপি শরিকের বার্তা দলীয় নেতাকে নিয়ে
আদালত বলছে, যে ঘটনাস্থলের কথা উল্লেখ করা হচ্ছে, সেখানে অভিযোগকারিনী তাঁর বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে গিয়েছিলেন। যে সময় ঘটনা ঘটেছে সেখানে একাধিকজন উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা কেউই আওয়াজ তোলেননি ঘটনার বিরুদ্ধে। ফলে কীভাবে এই মামলার যুক্তি খাড়া হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে আদালতে। যিনি অভিযোগ তোলেন তিনি কেরলের অল্প বয়সী এক লেখিকা। আদালতের পর্যবেক্ষণ বলছে, ৩৫৪ ধারা অনুযায়ী অভিযুক্তের একটা উদ্দেশ্য থাকবে। তবে এক্ষেত্রে তা সহজ বোধগম্য হচ্ছে কি না তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।