এশিয়া কাপে রবিবারের ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচটি জোট বেঁধে দেখবেন না। শ্রীনগরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির তরফে তাদের ছাত্রদের এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ম্যাচ সম্পর্কে কিছু পোস্ট না করার জন্যও নির্দেশিকা জারি করেছে। ২০২১ সালের অক্টোবরের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, এই কারণেই এই নির্দেশিকা জারি। এই আবহে স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ারের ডিন এই নির্দেশিকা জারি করে জানায়, ম্যাচ চলাকালীন শিক্ষার্থীদের তাদের ঘরেই থাকতে হবে। (আরও পড়ুন: অশান্তির আশঙ্কা? ভারত-পাক ম্যাচের আগে কাশ্মীরি পড়ুয়াদের ‘পরামর্শ’ ছাত্র সংগঠনের)
কলেজ কর্তৃপক্ষের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘শিক্ষার্থীরা জানেন যে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে একটি বহুজাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট (এশিয়া কাপ) চলছে। শিক্ষার্থীদের এটাকে যেন সাধারণ খেলা হিসেবেই গ্রহণ করেন। তাছাড়া ইনস্টিটিউট বা হোস্টেলে কোনও ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা যাতে না করা হয়। এর জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যে পড়ুয়ারা ম্যাচ চলাকালীন নিজেদের ঘরেই থাকবেন এবং একসঙ্গে অনেকজন মিলে এই ম্যাচ দেখবেন না।’
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়, ‘যদি একটি নির্দিষ্ট কক্ষে অনেক পুড়য়া ম্যাচ দেখেন, তবে সেই নির্দিষ্ট কক্ষে থাকা পড়ুয়াদের বরাদ্দ হোস্টেলের ঘর থেকে বঞ্চিত করা হবে এবং জড়িত সমস্ত ছাত্রদের উপর কমপক্ষে পাঁচ হাচার টাকা জরিমানা আরোপ করা হবে।’ শিক্ষার্থীদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ম্যাচ সম্পর্কিত কোনও পোস্ট করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ম্যাচ চলাকালীন বা ম্যাচের পরে কেউ যেন হোস্টেলের ঘর থেকে বের না হন।
এর আগে ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ভারতের পরাজয়ের পরে বহিরাগত এবং স্থানীয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে শ্রীনগর এনআইটিতে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। এর জেরে এনআইটি কয়েকদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে গতবছর টি-২০ বিশ্বকাপের সময় ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের জেরে দেশ জুড়ে অনেক অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল। শ্রীনগরের মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে ভারত বিরোধী স্লোগানের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। অভিযুক্ত পড়ুয়াদের কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভারত বিরোধী পোস্ট করার জন্য অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছিল কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশে।