ইরানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কাওয়াতরার সঙ্গে ইরানের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানির ফোন মারফৎ কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্বভাবতই এই দুই দেশের প্রতিনিধিদের আলোচনায় আলাদা করে জায়গা করে নিয়েছে চাবাহার বন্দর প্রসঙ্গ। এই আলোচনা ঘিরে আরও একবার উঠছে ইরানের তৈল খনি নিয়ে মার্কিনি বিধির প্রসঙ্গ।
ইউক্রেনে যুদ্ধের পর থেকেই বিশ্ব জুড়ে তেলের ঘাটতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেই জায়গা থেকে প্রশ্ন উঠছে, ইরান ও ভেনেজুয়েলার তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে বিধি আরোপ করেছে তা নিয়ে। ব্রাতিসলাভা ফোরামে এই প্রশ্ন তোলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করও। বিধি আরোপিত ছিল ইরানের চাবাহার বন্দর নিয়েও। তবে, মার্কিনি বিধি ইরানের চাবাহার থেকে খানিকটা শিথিল হয়েছে সদ্য। সেই জায়গা থেকে স্বস্তি ফিরেছে দিল্লির কূটনীতিতে। সেই ঘটনার প্রেক্ষাপটে ভারত, ইরান দুই দেশের চাবাহার বন্দর নিয়ে আলোচনা নিঃসন্দেহে এশিয়ার কূটনীতির দিক থেকেও বড় বিষয়। প্রসঙ্গত, মধ্য এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগে গদর বন্দরের থেকে চাবাহারকেই দিল্লি প্রথম থেকে পছন্দ করে আসছে। আর সেই চাবাহারে ভারতের বিনিয়োগ ইস্যুও এশিয়ার কূটনীতিতে বেশ প্রাসঙ্গিক। কারণ, গদর বন্দর থেকে যে লাভ পাওয়ার আশায় ছিল চিন ও পাকিস্তান ছিল তা চূর্ণ করে দিতে পারে চাবাহার। ৯ মাস নয়, ৬ মাস পরেই মিলবে কোভিডের বুস্টার ডোজ, নিয়ম বদল কেন্দ্রের
এমন এক প্রেক্ষাপটে দুই দেশের আলোচনার আগে সোমবারই ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ান টুইটে জানান, গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা এগোচ্ছে যাতে বিধি (মার্কিন বিধি) তুলে নেওয়া হয়। এর আগে দিল্লিতে তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে সন্ত্রাসবাদ ইস্যু থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির সাপেক্ষে একাধিক আলোচনা হয়। উল্লেখ্য়, ২০১৬ সালে চাবাহার বন্দরের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারত, ইরান, আফগানিস্তানের এই যৌথ চুক্তিতে ভারত ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বন্দরে শাহিদ বেহেশ্তি টার্মিনাল তৈরির ক্ষেত্রেও ভারতের বিনিয়োগ রয়েছে।