আগামী ৩১ মার্চের পরও সেদ্ধ চালের উপর ২০ শতাংশ রফতানি শুল্কের নিয়ম কার্যকর হবে। জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ঘরোয়া বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং দেশের বাজারে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে চাল মজুত থাকে, সেজন্য গত বছর ২৫ অগস্ট থেকে সেদ্ধ চালের উপর ২০ শতাংশ হারে রফতানি শুল্ক বসানো হয়েছিল। তা প্রাথমিকভাবে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। পরবর্তীতে সেটা বাড়িয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত করে দেওয়া হয়। আর এবার কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেওয়া হল যে ৩১ মার্চের পরেও বিদেশে সেদ্ধ চাল পাঠাতে গেলে ২০ শতাংশ হারে রফতানি শুল্ক দিতে হবে। তবে কতদিন সেই রফতানি শুল্কের নিয়ম কার্যকর হবে, সেটা অর্থ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়নি।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০ ফেব্রুয়ারিের নিরিখে খুচরো বাজারে এক কিলোগ্রাম চালের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪.১১ টাকা। এক শতাংশে দাম বেড়েছে ০.৩৪ শতাংশ। সেখানে পাইকারি বাজারে এক কুইন্টাল চালের দাম দাঁড়িয়েছে ৩,৮৭৬ টাকা। অর্থাৎ দাম বেড়েছে ০.০৭ শতাংশ। আর গত বছরের নিরিখে চলতি বছরে খুচরো বাজার এবং পাইকারি বাজারে চালের দাম ১৫ শতাংশের মতো বেড়েছে। সেই পরিস্থিতিতে সেদ্ধ চালের রফতানির উপর আরও বেশিদিন শুল্ক ধার্য করার প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, সেই প্রস্তাব দেয় কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রক। তাতে অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিগোষ্ঠী। সেই মন্ত্রিগোষ্ঠীর ছাড়পত্রের পরই শুক্রবারই অর্থ মন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে ৩১ মার্চের পরেও সেদ্ধ চালের উপর ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক ধার্য করা হবে।
উল্লেখ্য, ভারত মোট যে পরিমাণ চাল বিদেশে পাঠিয়ে থাকে, সেটার ৩০ শতাংশই হল সেদ্ধ চাল (সেই রফতানি শুল্কের নিয়ম চালুর আগে পর্যন্ত সেটাই ছিল)। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২-২৩ সালে বিশ্বে চাল ব্যবসার ৪০ শতাংশই করেছে ভারত। যে দেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদক দেশ। সেই পরিস্থিতিতে ভারত সরকারের যে সিদ্ধান্তে চাল রফতানির উপর বড়সড় প্রভাব পড়বে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মতে।
আরও পড়ুন: Rice Worm: চাল রাখলেই পোকা হয়ে যায়! পাত্রে এই পাতা রাখলেই মুশকিল আসান