ইতিহাসে প্রথমবার চিনের বিরুদ্ধে আগ্রাসী মনোভাব গ্রহণ করার পথে হাঁটল ভারত। চিনা সেনার আগ্রাসনের জবাবে যে ভারতকেও আগ্রাসী মনোভাব গ্রহণ করতে হবে, তা বুঝেছে নয়াদিল্লি। আর তাই ভারতের ইতিহাসে প্রথমার পাকিস্তানের পাশাপাশি ভারতের ফোকাসে রয়েছে চিনা সীমান্ত। আর এই কারণে চিনা সীমান্তে ভারত আরও ৫০ হাজার জওয়ান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ১৯৬২ সালে চিনের সঙ্গে ভারত যুদ্ধ লড়লেও দিল্লির সামরিক শক্তি পাকিস্তানকে ফোকাস করেই বন্টিত থাকত।
তবে পুরো চিত্রটা বদলে যায় গালওয়ান সংঘর্ষের সময় থেকে। তখন থেকে ব্যাকচ্যানেলিংয়ের মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করে ভারত। অন্যদিকে বেজিংয়ের সঙ্গে সংঘাত ক্রমেই বেড়েছে নয়াদিল্লির। বর্তমানে চিনের সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে মোট ২ লক্ষ জওয়ান। গতবছরের তুলনায় তা ৪০ শতাংশ বেশি। তাছাড়া তিনটি স্থানে বায়ুসেনার জেট স্কোয়াড্রনও মোতায়েন রয়েছে চিনা সীমান্তের কাছেই।
সূত্র অনুযায়ী, চিন পিএলএ-র জওয়ান বাড়িয়ে চলেছে সীমান্ত বরাবর। এ জবাবে ভারত সীমান্ত রক্ষার স্বার্থে বিশাল সেনাবাহিনী, প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র, ট্যাঙ্ক আর প্রয়োজনীয় অন্যান্য পরিকাঠামো প্রস্তুত রেখেছে ওই অঞ্চলে। ভারতের তরফে জানানো হয়েছে চিন ওই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাতে স্থিতাবস্থা ভেঙে নিজের সেনার সংখ্যা বাড়িয়ে যাচ্ছে। যদিও চিনের দাবি, 'দখলদারি আর হুমকি'-র বিরুদ্ধেই তাদের এই পদক্ষেপ।
ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত-চিন দু'পক্ষই প্যানগং সো থেকে তাদের সৈন্যবাহিনী, ট্যাঙ্ক, সাময়িক আস্তানাগুলি সরাতে শুরু করে। তবে হট স্প্রিং, গোগরা, ডেসপ্যাং-সহ অনেকগুলি জায়গা থেকে সেনা সরাতে অস্বীকার করে চিন। এই আবহে ফের একবার উত্তেজনা বাড়ছে দুই দেশের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে খুব শীঘ্রই ১২তম বৈঠকে বসবে দুই দেশের সেনা প্রতিনিধিরা।