প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে 'বিতর্কিত' উত্তর দেওয়ায় গুগলকে নোটিশ পাঠাতে চলেছে ভারত সরকার। এক নেটিজেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেই যাবতীয় বিতর্ক শুরু হয়েছে। ওই নেটিজেন দাবি করেন যে মোদীকে নিয়ে বিরূপ জবাব দিয়েছে গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই) প্ল্যাটফর্ম জেমিনি। আর তারপরই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে ভারত। নোটিশ পাঠানো হচ্ছে গুগলকে। তবে শুধু ভারত সরকার নয়, জেমিনির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন টেসলার মালিক ইলন মাস্কও। তাঁর দাবি, গুগলের এআই প্ল্যাটফর্মে বর্ণবিদ্বেষ এবং লিঙ্গবৈষম্য আছে, তা ঠিক করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গুগলের উচ্চপদস্থ কর্তারা।
কিন্তু মোদীকে নিয়ে ঠিক কী জেমিনিতে কী হয়েছিল?
এক নেটিজেনের দাবি, জেমিনিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে মোদী, মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংরা ফ্যাসিস্ট কিনা। ট্রাম্পের ক্ষেত্রে জেমিনি সরাসরি কোনও উত্তর দেয়নি বলে দাবি করেছেন ওই নেটিজেন। তাঁর দাবি, নির্বাচন একটি জটিল বিষয়। নিত্যনতুন তথ্য উঠে আসে। একইসুরে ইমরান ও জিনপিংয়ের ক্ষেত্রে জেমিনির উত্তর ছিল যে তাঁরা ফ্যাসিবাদী কিনা, সেটা অত্যন্ত বিতর্কিত বিষয়। দুটি পক্ষেরই অনেক সমর্থক আছেন।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদীর ক্ষেত্রে জেমিনির উত্তরটা পালটে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই নেটিজেন। তিনি দাবি করেছেন, গুগলের এআই প্ল্যাটফর্মের তরফে বলা হয় যে মোদী এমন নীতি কার্যকর করেন, যেগুলিকে ফ্যাসিস্টের তকমা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। মোদীর বিরুদ্ধে আরও একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে বলে ওই নেটিজেন দাবি করেছেন।
ওই নেটিজেনের অভিযোগে প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেন, 'তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মধ্যস্থতাকারী নিয়মের (তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ম) ৩ (১) (খ) ধারার সরাসরি লঙ্ঘন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ক্রিমিনাল কোডেরও একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে।' তিনি স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন যে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। যদিও বিষয়টি নিয়ে গুগলের তরফে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
তারইমধ্যে গুগলের জেমিনির বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষ এবং লিঙ্গবৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন মাস্ক। তিনি বলেন, 'গতরাতে গুগলের এক উচ্চপদস্থ কর্তা আমায় ফোন করেন এবং আমার সঙ্গে ঘণ্টাখানেক কথা বলেন। উনি আমায় আশ্বস্ত করে বলেছেন, জেমিনিতে যে বর্ণবিদ্বেষ এবং লিঙ্গবৈষম্য আছে, সেটা ঠিক করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সময়ই বলবে (যে সেটা ঠিক করা হচ্ছে কিনা)।'