কানাঘুষো আগেই শোনা যাচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রীর মোদীর সফরলকালেই নাকি এমকিউ-৯বি ড্রোন বিক্রির চুক্তি করতে পারে আমেরিকা। ভারতকে এই ড্রোন কেনার জন্য অবশেষে রাজিও করে ফেলে ওয়াশিংটন। এই আবহে বৃহস্পতিবার এই ড্রোন কেনার জন্য অনুমোদন দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। জানা গিয়েছে, আমেরিকা থেকে ৩১টি এমকিউ-৯বি ড্রোন কিনবে ভারত। আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী মোদীর মার্কিন সফরকালে এই ড্রোন চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে। তবে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে এই ৩১টি সশস্ত্র ড্রোন কিনতে ভারতের খরচ হবে ৩ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি।
এদিকে জানা গিয়েছে, এই ড্রোন কেনার বিষয়ে সবুজ সংকেত দেওয়র জন্য ডিফেন্স অ্যাকিউজিশন কাউন্সিলের বৈঠক বসেছিল। এই কাউন্সিলের প্রধান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং নিজে। এই ড্রোন মার্কিন সংস্থা জেনারেল অ্যাটমিকস তৈরি করে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ড্রোন এক নাগাড়ে ২৭ ঘণ্টা আকাশে উড়তে থাকতে পারে। এটি ভূমি থেকে ৫০ হাজার ফিট উঁচুতে উড়তে পারে। এদিকে জানা গিয়েছে, ৩১টি ড্রোনের মধ্যে নৌসেনাকে দেওয়া হবে ১৫টি ড্রোন। সেনা এবং বায়ুসেনাকে ৮টি করে এমকিউ-৯বি ড্রোন দেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, আগামী ২২ জুন যখন হোয়াইট হাউজে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দেখা করবেন, তখনই এই সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। জানা গিয়েছে, আমেরিকায় তৈরি ড্রোন কেনার জন্য ওয়াশিংটনের সঙ্গে দিল্লি আচোলনা চলেছে বিগত আট বছর ধরে। বর্তমানে ভারতীয় নৌসেনা এমকিউ-৯ ড্রোন ব্যবহার করে। এই ড্রোনগুলি ২০২০ সালে আমেরিকা থেকে লিজে নেওয়া হয়েছিল। তবে এই ড্রোনটি শুধুমাত্র নজরদারি চালানোর ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়। নতুন এমকিউ-৯বি হল সশস্ত্র ড্রোন। এই ড্রোন ব্যবহার করেই তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মহম্মদ ওমর, আল কায়দা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি, ইরানের জেনারেল কাশেম সোলেমানি, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের প্রধান বায়তুল্লা মেহসুদকে খতম করেছিল আমেরিকা।
এই সশস্ত্র ড্রোনটি এআইএম-৯ সাইডউইন্ডার ক্ষেপণাস্ত্র বহন ও ছুড়তে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্রি স্বল্প পাল্লার। শূন্য থেকে শূন্যের কোনও লক্ষ্যবস্তুকে খতম করতে পারে এই মিসাইল। এছাড়া এই ড্রোনটি জিবিইউ-৩৮ বহন করতে পারে। এটি একটি গাইডেড বোমা। এছাড়াও এতে রয়েছে রয়েছে হেলফায়ার আর৯এক্স। এই ড্রোটনটি সর্বোচ্চ ১,৭৪৬ কিলোগ্রাম ওজনের পেলোড বহন করতে পারবে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৩০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে সক্ষম এই ড্রোন।