ই-পাসপোর্ট। পাসপোর্টের সঙ্গেই যুক্ত থাকবে মাইক্রোচিপ। সেখানেই বায়োমেট্রিক তথ্য সব রাখা থাকবে। শুক্রবার সেই ই- পাসপোর্ট তৈরির ব্যাপারে বিদেশ দফতর ও টাটা কনসালটেনসি সার্ভিস একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত করেছে। এটিকে পাসপোর্ট সেবা প্রোগ্রামের দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এই ই পাসপোর্টের চিপের মধ্য়ে পাসপোর্ট হোল্ডারের যাবতীয় তথ্য রাখা থাকবে। এই ধরনের পাসপোর্টের ডিজিটাল সুরক্ষাও যথাযথ থাকবে। তবে এক্ষেত্রে টিসিএস কেবলমাত্র কারিগরি সহায়তা করবে। বাকি যাবতীয় যা কাজ সবটাই করবে ভারত সরকার। ইন্টারন্যাশানাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন, ইন্ডিয়ান সিকিউরিটি প্রেস, ন্যাশানাল ইনফর্মেটিক্স সেন্টার এই ই- পাসপোর্টের ডিজাইনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
বিদেশ দফতরের অধীনে থাকা সচিব সঞ্জয় ভট্টাচার্য টুইট করে জানিয়েছেন, এক্ষেত্রেও বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতি লাগু হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে এই ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। অন্যদিকে আশা করা যাচ্ছে নতুন এই ব্যবস্থায় যথাযথ সময়ে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। পাসপোর্ট সেবাকেন্দ্র নেই এমন প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে পাসপোর্ট সেবাকেন্দ্র তৈরির ব্যাপারেও পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে গ্লোবাল পাসপোর্ট সেবা প্রোগ্রামের সহায়তায় ১৭৬টি ইন্ডিয়ান মিশনের সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। তবে সব মিলিয়ে প্রযুক্তিগত দিক থেকে অত্যন্ত উন্নতমানের হবে এই নয়া ব্যবস্থা।