ইন্ডিগোর এয়ারপোর্ট ম্যানেজারের খুনের ঘটনায় রীতিমতো উত্তাল হয়ে উঠেছে বিহার। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিহার পুলিশের অবশ্য দাবি, খুনের ঘটনায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরছিলেন রূপেশ কুমার সিং (৪০)। বাড়ির গেট খোলার জন্য অপেক্ষা করছিলেন নিজের গাড়িতেই। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই সময় বাইকে করে নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে দুই আততায়ী। সিসিটিভিতে পিছন দিকে আততায়ীদের দেখা গিয়েছে। তবে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের বিমানবন্দর থেকেই সম্ভবত রূপেশকে অনুসরণ করছিল আততায়ী।
ইতিমধ্যে তদন্তের জন্য বিমানবন্দরে পৌঁছেছে পুলিশের একটি দল। সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে সিসিটিভি ফুটেজ। বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) অন্যতম সদস্য তথা সাজিভালায়া ডেপুটি সুপার রাাজেশ সিং প্রভাকর বলেন, ‘আমরা কয়েকটি সূত্র পেয়েছি। তবে সে বিষয়ে আমরা এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না। আমরা নিশ্চিত যে দোষীদের দ্রুত খুঁজে বের করা হবে।’
এদিকে রূপেশের মৃত্যুর জেরে রীতিমতো ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। যথেষ্ট নামডাকও ছিল। তাঁর দুই সন্তান আছে। তাদের বয়স ১০-এর কম। আমজনতার ক্ষোভের মধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেন, ‘নীতিশ কুমার যদি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তাহলে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।’ একইসুরে কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তারিক আনওয়ার দাবি করেন, আইন-শৃঙ্খলার উপর যে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণ নেই, তা পুরোপুরি প্রমাণিত হয়েছে।
বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ বিবেক ঠাকুর দাবি করেছেন, পাঁচদিনের মধ্যে পুলিশ যদি দোষীদের চিহ্নিত করতে না পারে, তাহলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (সিবিআই) হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া উচিত। যদিও জেডিইউয়ের তরফে জানানো হয়েছে, বিহারের আইন-শৃ্ঙ্খলা বজায় রাখতে একেবারে বদ্ধপরিকর নীতিশ।