গতবছর নভেম্বরেই শেখ সুফিয়ানকে দেওয়া রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি নন্দীগ্রামে হিংসা মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার আগাম জামিনের আবেদনও খারিজ করা হয়েছিল। এই জোড়া ধাক্কা খাওয়া সুফিয়ান এবার সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নাড়লেন। হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা সুফিয়ানের আবেদন গৃহীত হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আগামী ৩১ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে। ততদিন পর্যন্ত অন্তরবর্তীকালীন রক্ষাকবচ প্রদান করা হয়েছে সুফিয়ানকে। সুফিয়ানের হয়ে শীর্ষ আদালতে মামলাটি লড়ছেন কপিল সিব্বল।
এদিকে সুফিয়ানকে রক্ষাকবচ দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহলা শীর্ষ আদালতে বলেন, ‘সুফিয়ানের নাম ১৬৪টি বয়ানে উঠে এসেছে। তবে এখনও সুফিয়ানকে গ্রেফতার করা হয়নি।’ উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতির খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের চিল্লগ্রামের বাসিন্দা, বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতির উপর হামলা করা হয়৷ একইসঙ্গে, তাঁর দলীয় সহকর্মীদের বাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়৷ ঘটনায় গুরুতর জখম দেবব্রতকে প্রথমে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতাল এবং সেখান থেকে কলকাতার এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু, তাতেও শেষরক্ষা হয়নি৷ ১৩ মে মৃত্যু হয় দেবব্রত মাইতির।
সিবিআই সূত্রে খবর, দেবব্রত মাইতি খুনের ঘটনাতেই নাম জড়িয়েছে শেখ সুফিয়ানের৷ সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এর আগে ডেকেও পাঠিয়েছিল সিবিআই৷ এই পরিস্থিতিতে হাই কোর্টের রক্ষাকবচ হারানোর পরই সিবিআই-এর হাতে সুফিয়ানের গ্রেফতারির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। এই আবহে হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা। ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় স্বস্তি পেতে তাই এখন দিল্লির দিকে তাকিয়ে সুফিয়ান।