অনিশ্চয়তার মুখে রেলের আইআরসিটিসির চুক্তিবদ্ধ কর্মীরা। আইআরসিটিসির তরফে সম্প্রতি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এক মাসের মধ্যে তাদের নতুন কাজ খুঁজে নিতে হবে।এক মাস পরে তাঁদের আর সংস্থার প্রয়োজন নেই। এই কথাই শুনে অথৈ জলে পড়েছেন অনেক চুক্তিবদ্ধ কর্মীরাই। ইতিমধ্যে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েলকে চিঠি লিখেছেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের রাজ্যসভার সাংসদ মনোজ ঝা। তিনি রেলমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
সম্প্রতি রাজ্যসভার সাংসদ যে চিঠিটি লিখেছেন, তাতে তিনি জানিয়েছেন, দেশে করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে এই চুক্তিবদ্ধ কর্মীরা যেভাবে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে খাবার সরবরাহ করেছেন, তা খুবই প্রশংসার দাবি রাখে। অথচ এই সব কর্মীদের নতুন চাকরি খুঁজে নিতে বলে দেওয়া হয়েছে। আইআরসিটিসি জানিয়েছে, তাঁদের ২ বছরের জন্য সংস্থার তরফে নেওয়া হয়েছিল। সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে। রেলমন্ত্রীকে চিঠি লিখে রাজ্যসভার সাংসদ আরও জানিয়েছেন, ‘এটা সবার জানা, করোনা পরিস্থিতিতে হোটেল শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে তাঁরা চাকরি পাবেন ভাবাই যায় না। বাজেট অধিবেশনে আপনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, রেলে কারও চাকরি যাবে না।এই সব কর্মীদের যাতে চাকরি না যায়, সেই অনুরোধই জানাচ্ছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চুক্তিবদ্ধ কর্মী জানিয়েছেন, সুপারভাইজাররা তাঁদের মৌখিকভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে অন্য জায়গায় কাজ খুঁজে নিতে। একইসঙ্গে ওই কর্মী জানিয়েছেন, শুধু তাদেরই নয়, আগামী ২৩ এপ্রিলের মধ্যে অনেক সুপারভাইজারের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং রেল মন্ত্রককে এই বিষয়ে চিঠি লিখে জানিয়েছি।’ শেষপর্যন্ত এই সব চুক্তিবদ্ধ কর্মীদের ভবিষ্যত কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।