পরিবারের প্রবীণ সদস্য। আর তাঁদের বেলাতেই খালি আপার বার্থ দিচ্ছে IRCTC। এমনই অভিযোগ তুললেন @malayaranjanpat নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী। বার্থ বরাদ্দ করার সফটওয়্যারের মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
ওই টুইটার ব্যবহারকারী রেল যাত্রী লেখেন, আপনারা কোন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন? ৭০ বছর বয়সী একজন বৃদ্ধাকে সাইড আপার বার্থ দেওয়া হয়েছে। আপনি ৭০-৮০ বছর বয়সে গিয়ে আপার বার্থে উঠতে পারবেন তো? আমার পরিবারের দুই মহিলা, আমার মা এবং আমার ঠাকুমার বেলায় এমনটাই হয়েছে। দু'জনকেই আপার বার্থ দেওয়া হয়েছে!
একজন বৃদ্ধা কীভাবে অত উঁচুতে উঠবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি এটাও জানান যে, একজন আর্থ্রাইটিসের রোগীর পক্ষে আপার বার্থে ওঠা সম্ভব নয়। রেলের কাছে এর উত্তর দাবি করেন তিনি। ওই ব্যক্তি জানান, শুধু তাঁর পরিবারের মহিলারাই নন, ৭৯ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ সদস্যকেও আপার বার্থ-ই দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা পুরো পরিবার একসঙ্গে যাচ্ছি। অথচ, আমাদের মধ্যে ৩ জনকে একটি কোচে (b5) এবং আমার বৃদ্ধা মাকে আরেকটি কোচে (b2) দেওয়া হয়েছে। এটাই কি জনসাধারণের প্রতি আপনাদের সেবার নমুনা?
সব শেষে রেলের কাছে নতুন টিকিট দাবি করেন ওই ব্যক্তি। তাতে তাঁর শর্ত মেনে একই কোচে লোয়ার বার্থের দাবি করেন।
উত্তর দিয়েছে IRCTC
টুইটের রিপ্লাই দিয়েছে আইআরসিটিসি। তারা লেখে, ভারতীয় রেলের কম্পিউটারাইজড রিজার্ভেশন সিস্টেমে, ৪৫ বছরের বেশি বয়সী প্রবীণ নাগরিক এবং মহিলা যাত্রীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিচের বার্থ বরাদ্দ করার নিয়ম রয়েছে। তবে, এটি বুকিংয়ের সময় নিচের বার্থ ফাঁকা আছে কিনা, তার উপর নির্ভর করে।
আর সেই কারণেই, ট্রেনে কোনও প্রবীণ নাগরিকের আপার বার্থের টিকিট থাকলেও তাঁরা খালি থাকলে নিচের বার্থটি নিতে পারেন। টিকিট চেকিং কর্মীরা সেই অনুমতি দিতে পারবেন।
রেলের এই উত্তরে যদিও সন্তুষ্ট নন যাত্রীদের একাংশ। একজন লেখেন, এসব অজুহাত দেওয়া বন্ধ করুন। আপনাদের অ্যালগরিদমটা ঠিক করুন।