সিরিয়ায় সংঘর্ষে নিহত আইএসআইএস শীর্ষ নেতা আবু আল হুসেইন আল হুসেইনি আল কুরেশি। কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠনের তরফে এই ঘটনাকে নিশ্চিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, উত্তর পশ্চিম সিরিয়ায় এক সংঘাতে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ইসলামিক স্টেট বা আইএস জঙ্গিদের কুখ্যাত সংগঠনের তরফে তাদের পরবর্তী নেতার নাম ঘোষিত হয়ে গিয়েছে।
সিরিয়ার ইদলিব প্রভিন্সে 'হায়াত তাহরির আল শাম' সংগঠনের সঙ্গে সংঘাত ঘটে যায় ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠনের। যদিও আইএসের তরফে টেলিগ্রামে একটি রেকর্ড করা মেসেজে সংগঠনের মুখপাত্র এই ঘটনা জানালেও, সংঘাত কখন ঘটেছে, তা জানায়নি। এর পাশাপাশি আইএস তা পরবর্তী নেতাকেও বেছে নিয়েছে। সেকথাও জানানিো হয়েছে টেলিগ্রামে রেকর্ডেড মেসেজে। আইএস-এর নয়া শীর্ষ নেতা আবি হাফসান আল হাসিনি আল কুরেশি। উল্লেখ্য এই নয়া নেতা আইএস জঙ্গি সংগছেনর পঞ্চম শীর্ষ নেতা হিসাবে উঠে এল। এর আগে, সিরিয়ার বিস্তীর্ণ ভূভাগে ক্রমেই কবজা কষাতে থাকে আইএস। পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে আইএস সংগঠনকে রুখতে বহু শক্তিধর দেশের প্রতিরক্ষাবিভাগ সক্রিয় হয়। বিশ্বের নানান প্রান্তে পর পর নাশকতার ছক বোনা আইএস ২০১৪ পরবর্তী সময় শক্তি হারাতে থাকে বলে বহু রিপোর্টে দাবি করা হয়। বিশ্বজুড়ে গণহত্যা, শিরোচ্ছেদের ঘটনার সঙ্গে বহু আইএস জঙ্গির যোগ খুঁজে পাওয়া যায়। বেশ কিছু নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দায় সংগঠন নিজেও নিয়েছে।
( Video: 'এগিয়ে আসছিল…' ঘটনা বলতে গিয়ে শিউরে উঠছেন স্থানীয়রা! হাওড়ায় নদীর চরে আটকে গেল জাহাজ)
২০১৭ সালে ইরাকে ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছিল আইএস জঙ্গি সংগঠন। পরের ২ বছরে তারা ধাক্কা খেয়েছে সিরিয়ায়। তবে সিরিয়া ও ইরাকে আইএসের দাপট ক্রমাগত কমতে থাকলেও, পরে সেখানে আইএসএর স্লিপার সেল জেগে ওঠে। তারা নানানভাবে নাশকতা ছড়াতে থাকে। গত নভেম্বরে আবু হাসান আল হাশিমি আল কুরেশির মতো আইএস শীর্ষ নেতা মারা যায়। এরপর ২০২৩ আগস্ট। মৃত্যু হল আরও এক আইএস শীর্ষ নেতার। ফলে মনে করা হচ্ছে, জঙ্গি সংগঠন আরও খানিকটা কাবু হতে থাকবে সিরিয়া ও ইরাকের মতো দেশে। সংগঠনের প্রথম খালিফা আবু বকর আল বাগদাদি ২০১৯সালে অক্টোবরে ইদলিবে মারা যায়।