তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। বুধবার মাদুরাইয়ে জাল্লিকাট্টু স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেছেন তিনি। আর মাদুরাইয়ের মাটি হল জাল্লিকাট্টুর জন্যই বিখ্যাত। সেখানেই তৈরি হয়েছে অত্যাধুনিক এই স্টেডিয়াম।
৬৫ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত ত্রিস্তরের এই স্টেডিয়াম। ৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই স্টেডিয়ামের আসন সংখ্য়া ৫,০০০। স্টেডিয়ামটিতে একটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত জায়গাও রয়েছে যাতে ৫০ জন বসতে পারেন। আহত ষাঁড়েদের চিকিৎসার জন্য একটি পশু চিকিৎসা কেন্দ্র এবং একটি জরুরি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিযোগিতা চলাকালে স্টেডিয়ামের বাইরে ১০টি জরুরি যানবাহন মোতায়েন থাকবে।
স্ট্যালিন বলেন, "জাল্লিকাট্টুর জন্য বিশ্বে এই ধরনের স্টেডিয়াম এই প্রথম।
স্ট্যালিন তাঁর পিতা তথা পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত এম করুণানিধির নামে কিলাকারাই গ্রামের স্টেডিয়ামটির নামকরণ করেছেন।
ক্লাসিক সঙ্গম সাহিত্যে, এরু থাজুভুথাল মানে ষাঁড়কে আলিঙ্গন করা। বুধবার প্রথম ম্যাচের সূচনা করে স্ট্যালিন বলেন, একসময় যেখানে সঙ্গম সাহিত্যের বিকাশ ঘটেছিল, সেখানেই স্টেডিয়াম গড়ে উঠেছে।
স্ট্যালিন বলেন, তামিল সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা খেলাধুলার জন্য ডিএমকে সরকার এই গৌরবময় স্টেডিয়ামটি তৈরি করেছে। আমি গর্বিত যে ইতিহাসে নাম তুলবে এই স্টেডিয়াম।
২০২২ সালে রাজ্য বিধানসভায় স্টেডিয়াম নির্মাণের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।
বিতর্কিত খেলাটি প্রতি বছর পোঙ্গলের চার দিনের ফসল কাটার উৎসবের সময় পরিচালিত হয়। এই বছর, জাল্লিকাট্টু রাজ্য জুড়ে ১০০ টিরও বেশি স্থানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যার জন্য ৬৬,০০০ এরও বেশি ষাঁড় পালন করা হয়েছিল। রাজ্য জুড়ে ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে জাল্লিকাট্টু অস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ২০১৭ সালে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদের পর, রাজ্য এই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করার জন্য ২০১৭ সালের পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ (তামিলনাড়ু সংশোধনী) আইন এবং ২০১৭ সালের পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ (জাল্লিকাট্টু আচরণ) বিধি কার্যকর করে। এআইএডিএমকে-র বহিষ্কৃত নেতা ও পন্নিরসেলভম ২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন অর্ডিন্যান্স এনেছিলেন।
গত বছর মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট তামিলনাড়ুর রাজ্য আইন বহাল করে জাল্লিকাট্টুকে অনুমতি দেয়। ক্ষমতাসীন ডিএমকে এবং বিরোধী এআইএডিএমকে উভয়ই এই রায়ের কৃতিত্ব নিয়েছে। এডাপ্পাডি পালানিস্বামীর নেতৃত্বাধীন এআইএডিএমকে বলেছে যে তাদের আইনি দল নিশ্চিত করেছে যে অর্ডিন্যান্সটি অনুমোদিত হয়েছে, এডাপ্পাডি পালানিস্বামীর নেতৃত্বাধীন এআইএডিএমকে বলেছে যে তারা রাজ্য আইন আনার পরে এটি তাদের জয়। এদিকে, পন্নিরসেলভম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি সেই সময় দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।