সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকার (জেইই মেন) প্রথম দিনে বসলেন ৬০ শতাংশের মতো পরীক্ষার্থী। তবে এখনও চূড়ান্ত পরিসংখ্যান হাতে আসেনি বলে জানিয়েছেন বিষয়টির অবহিত আধিকারিকরা।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে পরীক্ষার প্রথম দিনে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়েছিল কেন্দ্র। পরিস্থিতি একচুল এদিক-ওদিক হলেই বিরোধীরা ছেঁকে ধরত। সেই পরিস্থিতিতে করোনা সুরক্ষা বিধি মেনে প্রথম দিনের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর কিছুটা ‘স্বস্তির নিঃশ্বাস’ ফেলেছে শিক্ষা মন্ত্রক। শিক্ষাসচিব অমিত খারে দাবি করেন, 'সারাদেশেই মসৃণভাবে জেইই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। মসৃণভাবে পরীক্ষা আয়োজনের জন্য সব রাজ্য সরকার ও ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির সব আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।'
প্রথমদিনে স্থাপত্যবিদ্যা নিয়ে উচ্চশিক্ষা করতে আগ্রহী প্রার্থীরা পরীক্ষায় বসেছিলেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জেরে উপস্থিতির হার যে ধাক্কা খেয়েছে, তা স্পষ্ট। আপাতত উপস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিক। বিষয়টির সঙ্গে অবহিত এক কর্তা বলেছেন, ‘প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, পরীক্ষা দিতে ৬০ শতাংশের মতো পড়ুয়া পরীক্ষাকেন্দ্রে এসেছিলেন।’
পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে করোনা ও বৃষ্টির জোড়া ফলায় প্রথম দিন সমস্যার মুখে পড়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। সেখানে অনুপস্থিতির হার কত, তা এখনও জানানো হয়নি। তবে গুজরাতে ৪৫ শতাংশ মতো নথিভুক্ত প্রার্থী পরীক্ষায় বসেননি। গুজরাতের জেইই কো-অর্ডিনেটর বীরেন্দ্র রাওয়াত বলেন, ‘৩,০২০ জন নথিভুক্ত পড়ুয়ার মধ্যে প্রথম দিনে মাত্র ১,৬৬৪ জন বা ৫৫ শতাংশ উপস্থিত ছিলেন। বাকি ১,৩৫৬ জন (৪৫ শতাংশ) পড়ুয়া পরীক্ষায় বসেননি। সাধারণত প্রতি বছর ২৫-৩০ শতাংশ পড়ুয়া পরীক্ষায় দেন না। এ বছর তা ১০-১৫ শতাংশ বেড়েছে।’