নাতনির স্কুলের বকেয়া ফি জমা দিতে শনিবার বোকারোর চাস অঞ্চলের দিল্লি পাবলিক স্কুলে স্বয়ং হাজির হলেন ঝাড়খণ্ডের শিক্ষামন্ত্রী জগরনাথ মাহাত। অভিযোগ ফি বাকি পড়ায় ওই ছাত্রীর নাম অনলাইন ক্লাস থেকে ছাঁটাই করেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ।
গত ৬ মাস ধরে তার বাবা-মা তস্কুলের ফি জমা দিতে পারেননি বলে মাহাতর নাতনি ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রিয়ার নাম অনলাইন ক্লাস থেকে বাদ পড়েছিল বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নিজেই।
এ দিকে, স্কুল স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রীকে ফি জমা দিতে আসতে দেখে হতবাক স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, রিয়ার নাম মোটেই অনলাইন ক্লাস থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। বকেয়া ফি জমা পড়ার পরে এবার জেলা শিক্ষা বিভাগ অনুসন্ধান করে দেখবে, কর্তৃপক্ষের এই দাবি সঠিক কি না।
শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, ‘মন্ত্রী নয়, ফোনে নাতনির কাছে সব শোনার পরে অভিভাবক হিসেবেই ওখানে গিয়েছিলাম। রিয়া বলেছিল, স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনেক অনুনয় করলেও তাতে কর্ণপাত করা হয়নি।’
মেয়ের পড়াশোনার জন্য বোকারো স্টিল টাউনশিপের সেক্টর ৩-এ সপরিবারে বাস করেন শিক্ষাম্ন্ত্রীর মেয়ে রীনা। তবে এতদিন বাবার পররিচয় তাঁরা প্রকাশ করেননি। জানা গিয়েছে, লকডাউনে রোজগারে ভাটা পড়ার কারণেই মেয়ের স্কুলের ফি জমা দিতে পারেননি রীনার সিসিএল চাকুরে স্বামী।
মাহাত জানিয়েছেন, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বকেয়া ফি বাবদ মোট ২২,৮০০ টাকা তিনি স্কুলে জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া আর কোনও ফি তাঁকে দিতে হয়নি বলেও জানান মন্ত্রী।
সেই সঙ্গে, গত তিন মাসে ঝাড়খণ্ডে ডিপিএস-সহ বেসরকারি স্কুলের সংগৃহীত মোট ফি-এর পরিমাণ জেনে তাঁকে রিপোর্ট দিতে জেলা শিক্ষা আধিকারিককে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ‘অভিভাবকদের সমস্যা বোঝার জন্যও আমারে স্কুলে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল।’ প্রসঙ্গত, এর আগেই লকডাউনে পড়ুয়াদের থেকে শুধুমাত্র টিউশন ফি নেওয়ার নির্দেশ জানিয়েছিল ঝাড়খণ্ডের শিক্ষা মন্ত্রক।