উপলক্ষ্য ছিল ‘ডক্টর বি আর আম্বেকরর্স থটস অন ডিকোডিং দ্য ইউনিফর্ম সিভিক কোড’ শীর্ষক এক আলোচনা। সেখানে বক্তব্য রাখছিলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তিশ্রী ডি পণ্ডিত। বক্তব্য রাখার সময় তিনি হিন্দু দেবতাদের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, ‘ কোনও ভগবানই ব্রাহ্মণ নন।’ এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। তারপর শান্তিশ্রী পণ্ডিত নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেবন।
উপাচার্য শান্তিশ্রী পণ্ডিত জানান, ‘আমি ডক্টর আম্বেকর এবং লিঙ্গভিত্তিক সমানাধিকার নিয়ে বক্তব্য রাখছিলাম। ’ তিনি বলেন, ‘… আমাকে তাঁর(আম্বেদকর) ভাবনা বিশ্লেষণ করতে হয়েছে। তিনি তাঁর বইতে কী বলেছেন তারই একটি অংশ আমি বলেছি। এটি আমার ভাবনা নয়।’ নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে শান্তিশ্রী পণ্ডিত বলছেন, ‘ আমি এটাও বলেছি যে হিন্দু ধর্মই হল একমাত্র ধর্ম ও জীবনধারণের পথ। সনাতন ধর্ম ভিন্নমত, বৈচিত্র্য ও পার্থক্যকে গ্রহণ করে। অন্য কোনও ধর্মীয় বিশ্বাস এটা করে না। আর হিন্দুধর্মের মাহাত্ম্য এখানেই যে তারা গৌতম বুদ্ধ থেকে বি আর আম্বেদকরকে উদযাপন করে।’ Viral Video: জুতো দিয়ে জোম্যাটো কর্মীকে বেধড়ক মার মহিলার! তোলপাড় নেটপাড়া
উল্লেখ্য, জেএনইউএর উপাচার্যের যে বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক ও শোরগোল শুরু হয়েছে, তা তিনি ওই আলোচনা সভায় রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘অনুগ্রহ করে বৈজ্ঞানিকভাবে আমাদের ভগবানের ভিত ও উৎসের বিষয়টি লক্ষ্য করুন। কোনও ভগবানই ব্রাহ্মণ নন। সর্বোচ্চ বর্ণ কায়স্থ, ভগবান শিব এসসি বা এসটি হতে পারেন। কারণ তিনি সাপ জড়িয়ে শ্মশানে বসেন, তাঁর অঙ্গে কম বস্ত্র থাকে। সেক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনও ভগবানই উচ্চবর্ণ থেকে আসেননি, লক্ষ্মী, শক্তি সহ অন্যান্যরাও। ’ তিনি বলেন, ‘যদি জগন্নাথকেও দেখেন তিনিও আদিবাসী জনজাতির। সেক্ষেত্রেও আমরা বিভেদ করে চলেছি। এই বর্ণ নিয়ে বিভেদ অত্যন্ত অমানবিকতা।’