মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে অবশেষে জয়ের সিলমোহর পেলেন জো বাইডেন। তেসরা নভেম্বরের ভোটে যে জো বাইডেনই জিতেছেন, সেটা এদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেন মার্কিন উপ-রাষ্ট্রপতি মাইক পেন্স। এরপরেই হার স্বীকার করে নেন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এই সবের আগে এক প্রস্ত নাটক হল মার্কিন সংসদে যার জেরে সারা বিশ্বে মাথা হেঁট হয়ে গেল আমেরিকার।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে যৌথ অধিবেশনের কাজ সম্পন্ন হয়। তার আগে বহু ঘণ্টা অধিবেশন মুলতুবি ছিল কারণ ট্রাম্প সমর্থকরা সংসদে ঢুকে পড়ে হাঙ্গামা চালায়, ভাঙচুর করে। মৃত্যু হয় চারজনের। কোনও ভাবে লুকিয়ে থেকে প্রাণ রক্ষা করে জনপ্রতিনিধিরা। হিংসা ছড়ানো সমর্থকদের হয়ে কথা বলায় প্রায় সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট সাময়িক ভাবে ট্রাম্পকে ব্যান করে।
পুলিশ এসে দাঙ্গাকারীদের সরিয়ে দেওয়ার পর শুরু হয় অধিবেশন। তিনি যে বাইডেনের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পথে বাধা দেবেন না, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মাইক পেন্স। সেই মতোই ইলেকটরাল কলেজকে শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শেষ করেন তিনি।
এরপর ট্রাম্প বলেন যে কুড়ি তারিখ তিনি কুরসি ছাড়বেন। তাঁর মতে এত ভালো রাষ্ট্রপতি পদে চার বছরের মেয়াদ আগে দেখেনি আমেরিকা। সুষ্ঠু ভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর হবে বলেই আশ্বাস দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন যে ভোটের ফলাফল তিনি মানেন না ও সত্য তাঁর পক্ষে, তবুও তিনি পদ ছাড়বেন ওদিন। তবে আমেরিকাকে মহান বানানোর লড়াই যে ফের শুরু হচ্ছে, সেটাও বলেন তিনি।
এদিন সংশাপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া চলাকালীন অ্যারিজোনা ও পেনসেলভ্যানিয়ার ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কিছু রিপাবলিকান। তবে সেনেট ও হাউস, উভয় কক্ষ্যেই পরাজিত হয় সেই দাবি। অধিকাংশ রিপাবলিকান জনপ্রতিনিধি ভোটের ফলাফল ন্যায্য, সেই কথাকেই মান্যতা দেন। চার বছর ধরে ট্রাম্পের সব কথা মানলেও, এদিন পেন্স বলেন যে তাঁর কিছু করার নেই। হিংসা নয়, স্বাধীনতারই জয় হয়। এই রকম হিংসার পর বিভিন্ন মহল থেকে ট্রাম্পকে ইমপিচ করারও একটা দাবি উঠছিল। সেই সব দিক বিচার বিবেচনা করেই সম্ভবত রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করলেন যে তিনি শান্তিপূর্ণ ভাবে কুরসি ত্যাগ করবেন।