আচমকাই নীতিশ কুমারের ঘনিষ্ঠ নেতার সঙ্গে দেখা করলেন প্রাক্তন জেএনইউ সভাপতি কানহাইয়া কুমারের। এই নিয়ে রীতিমত জল্পনা শুরু হয়েছে পাটনায়। কারণ কানহাইয়ার সঙ্গে তাঁর দল সিপিআইয়ের বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যা চলছে। সেই পরিপ্রক্ষিতে বিহারের মন্ত্রী অশোক চৌধুরীর সঙ্গে কানহাইয়ার এই বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
নীতিশ কুমারের একেবারে ঘনিষ্ঠ অশোক। বিহারে রীতিমত কানঘেষে সরকারে এসেছে এনডিএ। তারপর শক্তিবৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ছোটো দল থেকে বিধায়ক ভাঙিয়ে নিয়ে আসার কাজটি নিপুণ ভাবে করছেন অশোক চৌধুরী। হালে যোগ দিয়েছেন বিএসপি বিধায়ক যামা খান ও নির্দল বিধায়ক সুমিত সিং। দুজনেই মন্ত্রিসভাতেও জায়গা পেয়েছেন। এলজেপি-র যে একজন বিধায়ক আছে, তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন অশোক।
এর মধ্যেই কানহাইয়ার সঙ্গে তাঁর বৈঠক। হালে কানহাইয়ার সঙ্গে তাঁর দলের সম্পর্ক ভালো নয়। গত লোকসভা ভোট থেকেই সম্পর্কে অবনতি হয়েছে। সেটা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে দলের জাতীয় কমিটি তাঁকে সেনসার করার পর। দলের এক নেতার ওপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কানহাইয়া ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
অশোক চৌধুরী অবশ্য বলেছেন যে এটা রাজনৈতিক বৈঠক নয়। উন্নয়নের কাজের জন্য অনেকেই দেখা করে বলে তিনি জানান। কানহাইয়া কিছু না বললেও তাঁর ঘনিষ্ঠদের মতে এটা নেহাতই সৌজন্য বৈঠক। এর মধ্যে রাজনীতি খুঁজতে যাওয়ার মানে নেই।
কিন্তু এই বৈঠক নিয়ে খুশি নয় বিজেপি। রাজ্যমন্ত্রী সুুভাষ সিং বলেন যে কানহাইয়া উন্মাদ ও তাঁর সঙ্গে বরিষ্ঠ নেতার বৈঠক ঠিক বার্তা দেয় না। জেডিইউ-র মুখপাত্র অজয় অলোক যদিও কানহাইয়ার দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেন নি। তিনি বলেন যে বিকৃৃত আদর্শ ত্যাগ করলে কানহাইয়া আসতেই পারে দলে।
জানা গিয়েছে যেভাবে আরজেডির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে সিপিআই, সেটা মেনে নিতে পারেননি কানহাইয়া। লোকসভা ভোটে আরজেডির জন্যই কানহাইয়া একেবারে কল্কে পাননি বেগুসরাই থেকে। সেই ক্ষোভ তো আছে। তেজস্বী যাদবকে নেতা মানতেও তিনি চান না। বিজেপির নেতারা মনে করছেন যে বিধানসভা ভোটে খারাপ ফলের পর নিজের হাত শক্ত করতেই হয়তো কানহাইয়াকে দলে টানছেন নীতিশ কুমার।