২০০১ সালে সংসদে জঙ্গি হামলা হয়েছিল। তারপর এতগুলো বছর কেটে গিয়েছে। আর ২০২৩ সালে ঠিক ওই দিনই সংসদের ঘটনা দেখে চমকে উঠলে গোটা দেশ। এদিকে ২০০১ সালে অন্তত ৫জন জঙ্গি ঢুকে পড়়েছিল সংসদ চত্বরে। সেই সময় এক মালি ও ৮জন সুরক্ষা বাহিনীর সদস্য়ের মৃত্য়ু হয়েছিল।
তবে এবার অবশ্য় কোনওভাবেই কোনও জঙ্গি যোগ মেলেনি। এবার কেবলই স্লোগান দিয়েছিলেন তাঁরা। হাতে কোনও অস্ত্রও ছিল না। কিন্তু স্মোক ক্যান নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেন কীভাবে?
কিন্তু ঠিক কী ধরনের সুরক্ষা থাকে সংসদ চত্বরে? সূত্রের খবর বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় থাকে সংসদ চত্বরে। সংসদের সুরক্ষা কর্মীরা রয়েছেন। সেই সঙ্গে সিআরপিএফ, আইটিবিপি, দিল্লি পুলিশ, স্পেশাল প্রটেকশন গ্রুপ, ন্যাশানাল সিকিউরিটি গার্ড, গোয়েন্দা বিভাগও রয়েছে। কিন্তু কেউ জানতেই পারলেন না স্মোক ক্যান নিয়ে দুজন সংসদে ঢুকে পড়লেন।
এদিকে নির্দিষ্ট পাস নিয়ে সংসদে প্রবেশ করতে হয়। সেখানে আপত্তিকর কোনও জিনিস নিয়ে প্রবেশ করা যায় না। একাধিকবার চেকিং করা হয়। দেহ তল্লাশিও চালানো হয়। এমনকী যে আসন যার জন্য বরাদ্দ করা হয় সেখান থেকে তারা বদল করতে পারেন না। কিন্তু এবার একেবারে সেই আসন থেকে লাফিয়ে নেমে পড়লেন দুজন। প্রথম দিকে কেউ আটকাতে পারলেন না।
এদিকে সূত্রের খবর, সংসদ ভবনে ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর রয়েছে। তার ভেতর দিয়েই যেতে হয়। এমনকী দেহ তল্লাশিও করা হয়। তাদের সঙ্গে কী ধরনের জিনিস রয়েছে সেটা বার বার দেখা হয়। এদিকে সাংসদদের কাছে আবেদন করে তবে পাস নিতে হয়। সেভাবেই দুজন পাস পেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের পেছনে যে এই উদ্দেশ্য় রয়েছে তা কেন জানা গেল না? কীভাবে তারা স্মোক ক্যান নিয়ে ভেতরে গেলেন?
এদিকে বার বারই বলা হয় বৈধ পাস ছাড়া কেউ সংসদের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেন না। এমনকী গ্যালারিতে বসে থাকার সময় কোনও দর্শনার্থী ছবি তুলতে পারবেন না, ছবি আঁকতে পারবেন না, এমনকী লিখতেও পারবেন না। তবে প্রেস গ্যালারিতে যে সাংবাদিকরা থাকেন তাঁরা লিখতে পারেন।