কোঝিকোড় বিমান দুর্ঘটনায় দুই পাইলট-সহ ১৮ জনের মৃ্ত্যুর এক সপ্তাহ পরে মালাপ্পুরমের জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট কোভিড পজিটিভ ধরা পড়লেন।
বিমান দুর্ঘটনায় নিহত একজন এবং আরও দুই আহত যাত্রীকে পরীক্ষার পরে পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পর থেকে দুই কর্তাই কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। কোঝিকোড় বিমানবন্দরে দুর্ঘটনাস্থলে তাঁরা দুজনেই দীর্ঘ সময় উপস্থিত থেকে সামনে থেরে উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। দুর্ঘটনার পরে প্রথমে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করেন স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারা।
দুর্ঘটনার ২০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন মালাপ্পুরমের জেলাশাসক কে গোপালকৃষ্ণন। কোভিড সংক্রমিত হওয়ার পরে শুক্রবার তিনি জানিয়েছেন, ‘গতকাল থেকেই কিছু উপসর্গ দেখা দেয় এবং পরে জানা গিয়েছে আমার পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এ আমাদের কাজেরই অংশ। দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা যে ১৮তেই বেঁধে রাখা গিয়েছে, এতেই স্বস্তি।’
গত বৃহস্পতিবার জেলার এসপি প্রধান আবদুল করিমও কোভিড পজিটিভ ধরা পড়েন।
এর আগে যে সমস্ত সিআইএসএফ জওয়ানরা বিমান দুর্ঘটনার উদ্ধারকাজে শামিল হয়েছিলেন, তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। যে কনডোট্টি এলাকায় বিমান ভেঙে পড়ে, সেটি আগেই সংক্রমণের কারণে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। দুর্ঘটনার পরেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উদ্ধারকাজ শুরুকরেন স্থানীয় তরুণ ও যুবকরা। তাঁদের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি এবং এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থা।
গত শনিবার দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের পরিবারপিছু ১০ লাখ টাকা আপৎকালীন সাহায্য ঘোষণা করেন পুরি. দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে জল্পনা থেকে সবাইকে তিনি বিরত থাকার আবেদন জানান।
ইতিমধ্যে কোঝিকোড় বিমান দুর্ঘটনা কেন্দ্র করে রকমারি তত্ত্ব ভেসে বেড়াচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে রানওয়েতে অতিরিক্ত রবার জমা, জল জমা এবং নিকাশি ব্যবস্থায় গলদ নিয়ে নানান চুলচেরা বিশ্লেষণ।
অন্য দিকে, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ১৫ জন ছাড়া বিমানের সব যাত্রী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।