রবি কৃষ্ণন খাজুরিয়া
সেনা প্রধান মনোজ পান্ডে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল বলে আগেই উল্লেখ করেছিলেন। সেই সঙ্গেই ওই এলাকা সংবেদনশীল ও এক বছরের মধ্য়ে কোনও সমস্যা হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেছিলেন। তবে এবার হিন্দুস্তান টাইমসের হাতে একটা ভিডিয়ো এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে চুসুল এলাকায় চিনা সেনাদের সঙ্গে মেষপালকদের চরম কথাকাটাকাটি হচ্ছে। গত ২ জানুয়ারির ঘটনা।
লাদাখ অটোনমাস হিল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের বিরোধী দলনেতা তথা কাউন্সিলর শেরিং নামগিয়াল একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। ৬.৫০ মিনিটের ভিডিয়ো। সেখানে দেখা যাচ্ছে একটা কমব্যাট গাড়িতে চেপে ৬-৮জন চিনা সেনা এসেছে। সেখানে তারা বার বার সাইরেন বাজিয়ে ভেড়া, ছাগলদের ভয় পাইয়ে দিচ্ছে।
তবে মেষপালকরা অবশ্য সাহসিকতার সঙ্গে বলে দেন, আমাদের এলাকা এটা। এখান থেকে যাব না। এমনকী কয়েকটা পাথরও তারা ছুঁড়ে দেন। মেষপালকরা জানিয়ে দেন, এটা ভারতের এলাকা। এখান থেকে যাব না।
তাকলুং এলাকায় গত ২ জানুয়ারি এই ঘটনা হয় বলে খবর। উত্তপ্ত কথাবার্তার পরে চিনের সেনারা এলাকা ছেড়ে চলে যায়।
এদিকে ঘটনার পরে ওই দিনই ভারতীয় ও চিনের সেনারা সমস্যা মেটাতে বৈঠক করে। এমনকী নিয়োমা ব্লকের সাব ডিভিশনাল ম্য়াজিস্ট্রেট জিগমেট আংচুক এলাকা পরিদর্শনও করেছেন।
এদিকে চিনা সেনাদের দাবি, যেখানে তারা গিয়েছিলেন সেটা তাদের জায়গা। মেষপালকরা ওখানে চলে এসেছিল।
তবে এটা বলাই যায় যে হিমালয় পর্বতের বিভিন্ন এলাকায় ঠিক কোথা দিয়ে সীমান্ত গিয়েছে তা নিয়ে বিতর্কটা থেকেই গিয়েছে।
লেহর কাউন্সিলর জানিয়েছেন, ঘটনার পরেই ভারতীয় সেনা গ্রামবাসীদের জানিয়েছেন LAC -এর খুব কাছে যাওয়ার দরকার নেই। এতে চিনা সেনাদের সঙ্গে ঝামেলা হবে। কাউন্সিলর জানিয়েছেন, তিনি প্রশানের গোচরে ব্যাপারটি এনেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ব্যাপারটি মিটমাট করে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র মারফৎ হিন্দুস্তান টাইমস জানতে পেরেছে, সামগ্রিক বিষয় নিয়ে একটা রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ২০২০ সালের জুন মাসে পূর্ব লাদাখের গালোয়ানে ভারত ও চিনের সেনার মধ্যে কার্যত সংঘর্ষ হয়েছিল। একেবারে হাতে হাতে লড়াই। তাতে শহিদ হয়েছিলেন ২০জন ভারতীয় সেনা।