বিচারপতি নিয়োগে কলেজিয়ামের ভূমিকা হোক কি আইন প্রণয়ন, বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই প্রকাশ্যে দেশের বিচার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই ফের একবার বিস্ফোরক সব মন্তব্য করলেন আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে কথা বলতে গিয়ে রিজিজু বলেন, ‘আমরা একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বসবাস করি। ভারত একটি গণতন্ত্র। জাতির সার্বভৌমত্ব ভারতের জনগণের মধ্যে নিহিত। ভারতের জনগণ নিজেদের শাসন করে। জনগণ সিদ্ধান্ত নেয় কীভাবে নিজেদের শাসন করা হবে। তাই জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিজেদের শাসন করেন তাঁরা।এই আবহে বিচার বিভাগ দেশ চালাবে নাকি নির্বাচিত সরকার?’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রতি পুরোপুরি অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে বিচার বিভাগেরও উচিত তাদের সাংবিধানিক সীমানাকে সম্মান করা এবং জাতির স্বার্থে লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম না করা।’ রিজিজুর কথায়, ‘এখন যদি বিচার বিভাগ নিয়ম প্রণয়ন শুরু করে, তারা যদি সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করে যে কোথায় রাস্তা তৈরি করতে হবে, যদি বিচার বিভাগ পরিষেবা বিধিতে হস্তক্ষেপ করে, তাহলে সরকার কিসের জন্য আছে?’
রিজিজু বলেন, ‘কোভিডের সময়, দিল্লি হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল যে কোভিড বিষয়গুলি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি থাকা উচিত। তারপরে আমরা সলিসিটর জেনারেলকে (তুষার মেহতা) আদালতে জানাতে বলেছিলাম, যে এটা আদালতের কাজ নয়। আমাদের সামনে উপনীত হওয়া চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারই সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে।’
এদিকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা নিয়ে রিজিজু বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টকে বলেছিলাম যে সরকার রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বিধান পরিবর্তনের কথা ভাবছে। তা সত্ত্বেও সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের ধারাগুলি খারিজ করে দেয়। আমি এটা নিয়ে খুব বিরক্ত।’