আদালতের নির্দেশে রাজ্যে পুজো মণ্ডপে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। রয়েছে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার জন্য দুটি ডোজ নেওয়ার শর্তও। তবে এসবের ক্ষেত্রে নিয়মে কিছুটা শিথিল করা হয়েছে বেঙ্গালুরুতে। বেঙ্গালুরুতে স্থানীয় পুর প্রশাসনের তরফে দুর্গাপুজো ও নবরাত্রি উপলক্ষে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তাতে মণ্ডপে ঢুকে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার যেমন অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তেমনি দুর্গামূর্তি দৈর্ঘ্য বেঁধে দেওয়ার ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি।
এর আগে বেঙ্গালুরুতে দুর্গাপুজো করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি ছিল। পুজোর আচার অনুষ্ঠান ও বিসর্জনের সময়ে ঢাক বা ডিজে ড্রাম বাজানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের অনেকেই বিরোধিতা করতে শুরু করে। পাশাপাশি দুর্গা মূর্তির দৈর্ঘ্য ৪ ফুটের বেশি হবে না বলেও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। সম্প্রতি বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য পুর কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি লেখেন ও গাইডলাইন পরিবর্তনের আর্জি জানান। সেই আর্জি মেনেই স্থানীয় পুর প্রশাসনের তরফে নয়া গাইডলাইন বের করা হয়। সেই গাইডলাইন মতো পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পুজোর আচার অনুষ্ঠান ও বিসর্জনের সময় ঢাক বা ডি জে ড্রাম বাজানো যাবে। তবে পুলিশ ও জোনাল জয়েন্ট কমিশনারের তরফে যে জায়গাগুলি বিসর্জন দেওয়ার জন্য বেঁধে দেওয়া হবে সেখানেই বিসর্জন দেওয়া যাবে। পাশাপাশি মণ্ডপে পুষ্পাঞ্জলির অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতি ব্যাচে ৫০ জন করে থাকতে হবে। কতগুলি ব্যাচ হবে, তার কোনও সীমারেখা বেঁধে দেওয়া হয়নি। তবে দেবী দর্শনের জন্য মণ্ডপে ১০ জনের বেশি প্রবেশ করতে পারবে না। সেইসঙ্গে একইসঙ্গে ১০ জনের বেশি সিঁদুরখেলায় অংশ নিতে পারবেন না।
নিয়মে কিছুটা শিথিল আনা হলেও করোনা বিধি যাতে ঠিকভাবে পালন করা হয়, সেটা দেখার জন্য পুজো উদ্যোক্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুজো উদ্যোক্তাদের পুর প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও রকম মিষ্টি, ফল বা ফুল বিতরণ করা যাবে না। পাশাপাশি যে সব আমন্ত্রিতরা পুজো মণ্ডপে আসবেন, তাঁদের আমন্ত্রণ পত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একসঙ্গে যাতে ১০০ জনের বেশি পুজো মণ্ডপে ভিড় না করে সেজন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের।