1/5 কার্যত বিরোধী শূন্য লোকসভায় পাশ হল ন্যায় সংহিতা বিল। লোকসভায় ৯৭ সাংসদের সাসপেনশনের পর তাঁদের অনুপস্থিতিতেই এই বিল পাশ হয়েছে। এর আগে চলতি বছরে বাদল অধিবেশনের শেষদিনে ফৌজদারি আইনের পরিবর্তে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য বিল পেশ করেছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর বহু ঘটনা পরম্পরার পর বুধবার ২০ ডিসেম্বর সংসদে পেশ হয় ওই তিন বিল। (ANI Photo/Sansad TV)
2/5 বিল পেশের সময় অমিত শাহ বলেন, ‘নয়া ফৌজদারি আইনের প্রতিটি দাড়ি, কমা খতিয়ে দেখেছি।’ তিনি জানান, এই বিল সংক্রান্ত ১৫৮ টি বৈঠক করা হয়েছে মোদী সরকারের তরফে। অমিত শাহ বলেন, এই বিলের ক্ষেত্রে ভারতীয়তা, ভারতীয় সংবিধান এবং জনগণের কল্যাণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। অমিত শাহ জানান, গণপিটুনিকে এই বিলের আওতায় অপরাধ হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে। (ANI Photo/Sansad TV)
3/5 বুধবার লোকসভায় মোট ৩ টি বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই বিরোধীদের ৯৭ সাসপেন্ড হওয়া সাংসদের অনুপস্থিতিতে তা পাশ হয়ে যায়। এর আগেও এই বিল লোকসভায় পাশ হয়। সেখানে বেশ কিছু সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছিল। তবে তার আগে বিলটি গিয়েছিল স্বরাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী কমিটির কাছে। সেখানেই শাসক ও বিরোধী সংঘাত দেখা যায়। কমিটিতে ইন্ডিয়া জোটের সদস্যদের দাবি ছিল, বিল নিয়ে তাড়াহুড়ো করছে। শেষমেশ কার্যত বিরোধী শূন্য লোকসভায় পাশ হল ওই বিল। (ANI Photo/Sansad TV)া
4/5 উল্লেখ্য, সংসদে ১৪৩ জন সাংসদ বর্তমনে সাসপেন্ড। তাঁরা সকলেই বিরোধীপক্ষের। প্রসঙ্গত, এর আগে মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশের ১৪১ জন সাংসদ সাসপেন্ড হন। তারপর বুধবার আরও ২ জন সাসপেন্ড হন। ফলে শীতকালীন অধিবেশনে চলতি বছরে বেনজিরভাবে ১৪৩ জন সাংসদ সাসপেন্ড হয়েছেন।সেই অবস্থাতেই সংসদে তিনটি বিল পেশ হয়। সেগুলি হল - ভারতীয় ন্যায় (দ্বিতীয়) সংহিতা বিল ২০২৩, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা (দ্বিতীয়) সংহিতা বিল ২০২৩, ভারতীয় সাক্ষ্য (দ্বিতীয়) বিল ২০২৩। (ANI Photo/Sansad TV)
5/5 উল্লেখ্য, এর আগে, লোকসভায় গত বুধবার ১৩ ডিসেম্বর সভা চলাকালীন কক্ষের মধ্যে প্রবেশ করে হানা দেয় ২ অনুপ্রবেশকারী। তারা ক্যানিস্টার নিয়ে সভাকক্ষে প্রবেশ করে হলু ধোঁয়া ছড়ায়। ঘটনায় সংসদের ভিতরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী সাংসদরা। দাবি করেন অমিত শাহের ইস্তফার। এরপরই বৃহস্পতিবার প্রথমে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হন তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়ান। এরপর আজ পর্যন্ত চলতি অধিবেশনে বাকি সময়ের জন্য সাসপেন্ড হন ১৪৩ জন সাংসদ।