মৌলিক শিক্ষা প্রদানের জন্য মাদ্রাসা একেবারেই উপযুক্ত জায়গা নয়। যা শিক্ষার জন্য ‘অযোগ্য স্থান’। এলাহাবাদ হাইকোর্টে এমনই জানাল জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন (NCPCR)। সেইসঙ্গে কমিশনের তরফে দাবি করা হয়েছে, অন্য ধর্মের পড়ুয়াদের ইসলামিক ধর্মীয় রীতি মেনে যে শিক্ষা প্রদান করা হয়, সেটা ভারতীয় সংবিধানের বিরোধী। সেই বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানের ২৮ (৩) ধারার সম্পূর্ণ বিরোধী বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে।
ধর্মীয় শিক্ষার জন্য সরকারের কোষাগার থেকে কীভাবে অর্থ খরচ করা হয়, তা ব্যাখ্যা করার জন্য গত মার্চে কেন্দ্রীয় সরকার এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানের ১৪ ধারা, ২৫ ধারা, ২৬ ধারা, ২৯ ধারা এবং ৩০ ধারার বিরোধী কিনা, তাও ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশের ভিত্তিতে হাইকোর্টে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন জানিয়েছে, মাদ্রাসায় শিশুদের যে শিক্ষা প্রদান করা হয়, সেটা উপযুক্ত নয়। যা ২০০৯ সালের শিক্ষার অধিকার আইনের ধারার বিরোধী।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, মাদ্রাসার ক্ষেত্রে ২০০৯ সালের শিক্ষার অধিকার আইন প্রয়োজ্য হয় না। সাধারণ স্কুলের পড়ুয়ারা যে সুযোগ-সুবিধা পায়, তা থেকে বঞ্চিত হয় মাদ্রাসার পড়ুয়ারা। শিক্ষার অধিকার আইনের আওতায় যে কোনও স্কুলকে মৌলিক শিক্ষা প্রদান করতে হয়। সেই পরিস্থিতিতে শিক্ষার অধিকার আইনের বিরোধী কোনও কর্মকাণ্ডে সমর্থন করতে পারে না রাষ্ট্র। কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, ‘এরকম প্রতিষ্ঠান অমুসলিমদেরও ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করছে, যা ভারতীয় সংবিধানের ২৮ (৩) ধারার লঙ্ঘন করছে।’
কমিশনের বক্তব্য, কোনও পড়ুয়া বা ওই পড়ুয়ার পরিবারকে মাদ্রাসা বাধ্য করতে পারে না যে তাকে মাদ্রাসা থেকেই পড়াশোনা করতে হবে। ‘মৌলিক শিক্ষার জন্য মাদ্রাসা যে শুধুমাত্র অনুপযুক্ত বা অযোগ্য জায়গা, সেটা নয়। তাছাড়াও ২০০৯ সালের শিক্ষার অধিকার আইনের ১৯ ধারা, ২১ ধারা, ২২ ধারা, ২৩ ধারা, ২৪ ধারা, ২৫ ধারা এবং ২৯ ধারার আওতায় শিশুদের যে সুবিধা প্রদান করা হয়, সেটা ছাড়াই মাদ্রাসা চলে।’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)