এবার শিবসেনা সংসদীয় দলেও ভাঙন। আজ দিল্লিতে ১২ জন শিবসেনা সাংসদের সঙ্গে দেখা করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। লোকসভায় শিবসেনার ১৮ জন সাংসদ আছেন। তাঁদের মধ্যে থেকে ১২ জন একনাথ শিন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানা গিয়েছিল আগেই। এই আবহে আজকে এই ১২ সাংসদ শিন্ডে গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছেন আজ। জানা গিয়েছে, শিন্ডে গোষ্ঠীতে নাম লেখানো সাংসদরা হলেন - ধৈর্যশীল সম্ভাজিরাও মানে, সদাশিব লোখান্ডে, হেমন্ত গডসে, হেমন্ত পাতিল, রাজেন্দ্র গাভিত, সঞ্জয় মান্ডলিক, শ্রীকান্ত শিন্ডে, শ্রীরঙ্গ বার্নে, রাহুল শেওয়ালে, প্রতাপরাও গণপতরাও যাদব, কৃপাল তুমানে, ভাবনা গাওলি।
এর আগে গতকালই দলের জাতীয় কার্যনির্বাহীতে বদল এনেছিলেন একনাথ শিন্ডে। একনাথ শিন্ডে সোমবার নিজেকে শিবসেনার প্রধান নেতা হিসেবে অভিষিক্ত করেন। উদ্ধব ঠাকরে অবশ্য শিন্দের নতুন জাতীয় কার্যনির্বাহীতে শিবসেনার সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। শিবসেনার গঠনতন্ত্রে পার্টির প্রধানকে দল পরিচালনার জন্য নেতা এবং উপনেতারা সহায়তা করেন। শিন্ডের ‘প্রধান নেতা’ পদটি নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছে।
এদিকে উদ্ধব ঠাকরেকে দলের প্রধান হিসাবে বহাল রাখা হলেও এটা স্পষ্ট যে বিদ্রোহীরা তাঁকে নিছক এক ‘প্রতীক’ হিসাবে ব্যবহার করতে চান। শিন্দে বর্তমানে দলের সিংহভাগ বিধায়ক এবং সাংসদের সমর্থন পাচ্ছেন। দলের যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তিনি। এই নতুন ব্যবস্থা অবশ্য প্রত্যাখ্যান করেন উদ্ধব ঠাকরে। তিনি ইতিমধ্যেই শিন্ডেকে শিবসেনার জাতীয় কার্যনির্বাহীর 'নেতা' পদ থেকে বরখাস্ত করেছেন। এদিকে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী রামদাস কদম ও প্রাক্তন সাংসদ আনন্দ রাও আদসুলকে বরখাস্ত করেছেন উদ্ধব ঠাকরে। এই দুই নেতাই শিন্ডের নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিটিতে আছে।