নারদ মামলা ঘিরে চরমে উঠেছে সংঘাত। সেই আবহেই বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাস সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে হাজির থাকছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নারদকাণ্ডে গ্রেফতারির পর এই প্রথম মুখোমুখি হতে চলেছেন মমতা এবং মোদী।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১০ টি রাজ্যের ৫৪ টি জেলার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মোদী বৈঠক করবেন। যেখানে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীদের উপস্থিতি নিয়ে প্রাথমিকভাবে জল্পনা থাকলেও পরে জানানো হয়, জেলাশাসকদের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীরাও থাকবেন। সেখানে থাকছেন মমতা। থাকছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব এইচ কে দ্বিবেদী এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। সেইসঙ্গে বৃহস্পতিবার দুই পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া, বীরভূমের জেলাশাসক এবং কলকাতার পুর কমিশনার বিনোদ কুমার থাকছেন।
এমনিতে ঊর্ধ্বমুখী করোনাভাইরাস সংক্রমণে রাশ টানতে গত ১৫ মে সকাল থেকে রাজ্যজুড়ে কার্যত লকডাউনের পথে হেঁটেছে মমতা সরকার। সরকারিভাবে লকডাউনের তকমা অবশ্য দেওয়া হয়নি। যদিও রাজ্যের প্রশাসনিক মহলের দাবি, করোনা মোকাবিলায় যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে নবান্ন। তবে মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা টিকার আকাল এবং অক্সিজেনের জোগান। যে গতিতে রাজ্য টিকাকরণ করতে চাইছে, টিকার অভাবে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যাচ্ছে না। অথচ বিশেষজ্ঞরা স্পষ্টই বলছেন যে টিকা ছাড়া ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউ রোখা যাবে না। সেই বিষয়টি বৃহস্পতিবারের বৈঠকে তূুলতে পারেন মমতা। যিনি টিকার জোগানের জন্য ইতিমধ্যে মোদীকে একাধিকবার চিঠি লিখেছেন। রাজ্যে টিকা তৈরির কারখানা গড়ার জন্য জমি দিতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন। পাশাপাশি, বাংলায় তৈরি অক্সিজেন উত্তরপ্রদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগও একাধিকবার তুলেছেন মমতা।