সকাল থেকেই একাধিক জল্পনা ছিল। তাঁর ইস্তফার দাবিতে যখন বিরোধীরা সরব, তখন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং শুক্রবার রাজ্যের রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাবেন বলে শোনা গিয়েছিল। এরপই তাঁকে রুখে দেন তাঁর সমর্থকরা। শোনা যায়, বীরেন সিংয়ের ইস্তফাপত্র ছেঁড়া হয়েছে। এরপর মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘কঠিন সময়ে’ তিনি ইস্তফা দেবেন না।
এদিন বীরেন সিংকে রাজভবনে যাওয়ার পথে রুখে দেন তাঁর সমর্থকরা। উল্লেখ্য, মণিপুরের রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছিলেন বীরেন সিং। জল্পনা ছিল, তিনি ইস্তফা দিতে পারেন। তবে শেষমেশ টুইট করে বীরেন সিং জানিয়ে দিলেন অবস্থান। টুইটে লেখা রয়েছে,' এই কঠিন সময়ে আমি এটা স্পষ্ট করতে চাই যে, আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেব না।' উল্লেখ্য, শুক্রবার তাঁর রাজভবনে যাত্রা কালে পর পর নাটকীয় মুহূর্তে দেখা যায় মণিুপুরের বুকে। বীরেন সিংয়ের রাস্তা রুখে দিতে দেখা যায় তাঁর সমর্থকদের। প্রসঙ্গত, মণিপুরে জাতি বিবাদের জেরে যে হিংসা ছড়িয়েছে তা নিয়েই বীরেন সিংয়ের পদত্যাগ দাবি করেন বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই মণিপুরে এই হিংসার জেরে মৃত্যু হয়েছে ১০০ এরও বেশি মানুষের।
এর আগে মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে কয়েকদিন আগেই বসেছিল সর্বদলীয় বৈঠক। সেখানে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার দাবি করেন বিরোধীরা। কংগ্রেস সমেত সমস্ত কয়টি বিরোধী দল অমিত শাহের ডাকা দিল্লির সর্বদলীয় বৈঠকে এন বীরেন সিংয়ের ইস্তফার দাবি তোলে। এদিকে, ঘরেও চাপ বাড়ছিল বীরেন সিংয়ের ওপর। তারপরই তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে, বীরেন সিংয়ের এক সমর্থক বলেন, ‘আমরা চাইনা বীরেন সিং মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিন। তাঁর ইস্তফা দেওয়া উচিত নয়। তিনি আমাদের জন্য অনেক কিছু করছেন। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থন করছি।’ এদিন বীরেন সিংকে ইস্তফা থএকে রোখার জন্য শত শত মানুষ তাঁর বাসভবনের সামনে রাস্তায় বসে পড়েন প্রতিবাদে। যাতে মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা না দেন, তার দাবিতে তাঁরা সোচ্চার হন।