ফের হিংসা মণিপুরে। কুকিরা ফের গুলি চালিয়েছে, বোমা ছুঁড়েছে বলে অভিযোগ। মণিপুরের ইম্ফলের পশ্চিম জেলায় দুটি গ্রামের ঘটনা। শনিবার এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, কাংচুপ ও ফায়েং গ্রামে এই হিংসার ঘটনা হয়েছে বলে খবর। এই ঘটনায় অন্তত ১৫জন জখম হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছেন , শুক্রবার রাতে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে গুলির লড়াই চলে। রাজ্য পুলিশ ও মণিপুর রাইফেলসের জওয়ানরা এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করেন।
এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ১৫জন জখম হয়েছেন। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইম্ফলের একটি সরকারি হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়েছে।
তবে এখানেই শেষ নয়। গত ২৪ ঘণ্টায় বিষ্ণুপুর জেলাতেও নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনা হয়েছে। মণিপুর পুলিশ, বিএসএফ, ও অসম রাইফেলস কাকচিং জেলা থেকে সাতটি দেহ উদ্ধার করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে গুলির লড়াইতে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, মণিপুরে হিংসার জেরে সব মিলিয়ে ৯৮ জন মানুষ সম্প্রতি প্রাণ হারিয়েছিলেন। ৩১০জন আহত হয়েছিলেন বলে খবর।
এদিকে গত ৩ মে থেকে মণিপুরে এই হিংসার ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে অন্তত হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়ে যান। মৈতেয়ী ও কুকি জোমি উপজাতিদের প্রচুর বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
এদিকে একাধিক ইস্যুতে এই হিংসার ঘটনা হয়েছে বলে অভিযোগ। সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকা থেকে উচ্ছেদ, পাহাড়ে পোস্ত চাষ বন্ধ করা, অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিবাদে ও মৈতেয়ীদের সিডিউলড ট্রাইব মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল।
শনিবার ইম্ফল পূর্ব জেলা ও ইম্ফল পশ্চিম জেলায় ১২ ঘণ্টার জন্য কার্ফু শিথিল করা হয়েছে। এদিন দেখা যায় এই কার্ফু শিথিল করার সময় প্রচুর সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। মূলত বাজারগুলিতে কিছুটা ভিড় ছিল এদিন। মূলত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য তাড়াহুড়ো ছিল চোখে পড়ার মতো।
|#+|