হরিয়ানায় বিজেপি-জেজেপি সম্পর্কে ফাটলের জল্পনার মাঝেই মঙ্গলবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা মনোহর সিং খট্টর দিয়েছেন ইস্তফা। তাঁকে ঘিরে একাধিক জল্পনা তৈরি হয়েছে। তাঁর জীবনের পরবর্তী ধাপ কী হতে পারে? এটি যেমন প্রশ্ন, তেমনই হরিয়ানার রাজনৈতিক গতিবিধি কোনদিকে যাচ্ছে, তা নিয়েও রয়েছে লাখ টাকার প্রশ্ন।
এদিকে, ইস্তফার পর 'ম্যান অফ দ্য মোমেন্ট' মনোহর খট্টরকে ঘিরে জল্পনা রয়েছে যে তিনি সম্ভবত লোকসভা ভোটে লড়তে চলেছেন। বেশ কিছু রিপোর্ট দাবি করছে যে, তিনি সম্ভবত হরিয়ানার কারনাল কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়বেন। এই সমস্ত জল্পনার মাঝে দেখে নেওয়া যাক, এক ঝলকে মনোহরলাল খট্টরের রাজনৈতিক জীবন।
মনোহর লাল খট্টরের রাজনৈতিক জীবন
হরিয়ানার রোহতকের ভূমিপুত্র মনোহরলাল খট্টর। মনোহর লাল খট্টর জন্ম ৫ মে, ১৯৫৪ সালে এবং নিন্দানা গ্রামের বাসিন্দা। আরএসএস এর স্থায়ী সদস্য খট্টর ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘে যোগ দেন। ১৯৯৪ সালে বিজেপির সদস্য হওয়ার আগে ১৭ বছর সক্রিয়ভাবে সংগঠনের সেবা করেছিলেন। ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কর্নাল নির্বাচনী এলাকা থেকে জয়লাভের পর, তিনি ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে হরিয়ানার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হন। সালের লোকসভা নির্বাচনের নেতৃত্বে, খট্টরকে হরিয়ানার নির্বাচনী প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়েছিল বিজেপির তরফে । নির্বাচনে দলের সাফল্যে তার নেতৃত্ব অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। মনোহর খাট্টার কর্নাল বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ৬৩৭৭৭ ভোটের উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে জয়লাভ করেন। তবে তাঁর রাজনৈতিক সফরের মাঝে এক উল্লেখযোগ্য পর্ব ছিল রামরহিমকাণ্ড। ডেরা সচ্চা সৌদার প্রধান গুরমিত রাম রহিমের গ্রেফতারিকালে হরিয়ানা জুড়ে যে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়েছিল তারপর ক্রমেই মনোহর সরকার কোণঠাসা হতে থাকে। তবে সেই পরিস্থিতিও কাটিয়ে উঠেছিলেন তিনি। তাঁকে সেবার পদ থেকে সরানোর পক্ষে সায় দেয়নি পার্টি। ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪-এ, তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন, হরিয়ানার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিধায়ক হিসাবে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত চিহ্নিত করে তাঁর সেই শপথ। এরপর ২০২৪ সালে তিনি লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থীপদ পান।