রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে ঢাকার রাজপথ। এক লাফে পেট্রোপণ্যের এতটা দাম বাড়ানোর কারণে বিক্ষোভে উত্তাল বাংলাদেশ। প্রতিবাদ, বিক্ষোভের আঁচ বেড়েই চলেছে। দফায় দফায় অশান্তি হচ্ছে বাংলাদেশের একাধিক জায়গায়। ক্রমেই ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে ভারতের পড়শি দেশ।
পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ছোঁড়া হচ্ছে ইঁট। হামলা চালানো হচ্ছে পুলিশের উপর। বাদ যায়নি আওয়ামী লীগের দপ্তরও। রবিবার দিন, অর্থাৎ ৭ আগস্ট ঢাকার পল্টনে আওয়ামী লীগের দপ্তরেও ঝামেলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই দপ্তরে যখন আওয়ামী লীগের বৈঠক চলছিল তখনই উত্তেজনা ছড়ায়। নিরাপত্তা রক্ষীরা এসে কোনও মতে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বাদ যায়নি বিএনপির অফিসও। সূত্রের খবর অনুযায়ী বিএনপি কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ফলে তার আঁচ সোজাসুজি সাধারণ মানুষের গায়ে লেগেছে। রান্নাঘর থেকে পথে, সবেতেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। ৭ আগস্ট ঢাকার শাহবাগে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছিল। পরবর্তীকালে তাদের তরফে অভিযোগ করা হয় পুলিশ নাকি এই সমাবেশে হামলা চালিয়েছে। লাঠি চার্জ করা হয়েছে বিক্ষোভকারীদের উপর। বাম সংগঠনগুলোর তরফে দাবি করা হচ্ছে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ধাক্কা মেরে জাদুঘর পর্যন্ত সরিয়ে দেয়। যার জেরে কমপক্ষে ২০ আহত হয়েছেন। এর ফলে প্রতিবাদের আগুন আরও বৃদ্ধি পায়। সোমবার দিন আরেক দফায় তাঁদের বিক্ষোভ চলে রাজধানীর পথে।
পেট্রোপণ্যের দাম এভাবে এক লাফে প্রায় ৫২ শতাংশ বাড়ানো কেউই যেন মানতে পারছে না। সাধারণ মানুষ নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিতে বিভিন্ন পেট্রোলপাম্প থেকে শুরু করে রাজপথ, কোথাওই বাদ দিচ্ছে না। তবে এই বিষয়ে সরকার নিজেদের স্পষ্ট করেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধই দায়ী। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পেট্রোপণ্যের দাম কমানো যাবে না বলেই জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার গত শুক্রবার মাঝরাত থেকে জ্বালানি তেলের উপর থেকে ভর্তুকি তুলে নেওয়ায় ব্যাপক হারে মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে।