লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জঙ্গি ছাত্র সংগঠন, স্টুডেন্ট ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (সিমি)–কে আরও ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। জঙ্গি দমন আইনেই সিমি’র উপর এই নিষেধাজ্ঞা আরও ৫ বছর বাড়ানো হল। এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকী টুইট করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০০১ সাল থেকে এই জঙ্গি সংগঠনটির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। সেটা আরও পাঁচ বছর বাড়ানো হল।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, জঙ্গি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জিরো টলারেন্স নীতির কথা বিবেচনায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই সংস্থাটি এখনও দেশ বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইটারে লিখেছেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি’র লক্ষ্য জিরো টলারেন্স। সেই দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ‘বেআইনি সংগঠন’ হিসাবে ‘স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া (সিমি)’কে ইউএপিএ–এর অধীনে আরও পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
অন্যদিকে এনআইএ’র তদন্তে সিমির পাশাপাশি পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ারও কার্যকলাপ সামনে এসেছে। এই দুই সংগঠনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে অভিযান চালিয়েছে এনআইএ। যদিও দুই সংগঠনেরই দাবি, তাদের সঙ্গে জঙ্গি কার্যকলাপের কোনও সম্পর্ক নেই। তারা ইসলামিক সংস্কৃতির প্রসার এবং শিক্ষা বিস্তারে কাজ করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে পাল্টা খবর, সিমি’র বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপ, শান্তি ভঙ্গ করা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে। জঙ্গি দমন আইনে ২০০১ সাল থেকে সিমি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপি সাংসদরা ভোট চাইতে গেলে, বাড়িতেই ধরে রাখুন’, নিদান দিলেন অপিতা
এছাড়া এনআইএ সূত্রে খবর, পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে একজোট হয়ে নতুন করে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে সিমি। সিমি এবং পিএফআই, দুই সংগঠনেরই বহু নেতা–কর্মী এখন জেলে আছে। অনেকের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন বা ইউএপিএ’র জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। সিমি’র বিরুদ্ধে বহু বেআইনি কার্যকলাপ করার অভিযোগ আছে। এমনকী পাকিস্তানের সঙ্গেও এই সংগঠনের যোগ আছে বলে অভিযোগ। অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, ঝাড়খণ্ড, কেরল, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, তেলাঙ্গানা এবং উত্তরপ্রদেশ–সহ ১০টির বেশি রাজ্যের সরকার সিমি’কে ইউএপিএ আইনে ‘বেআইনি সংগঠন’ হিসাবে ঘোষণা করার সুপারিশ করে। ইন্ডিয়ান মজাহিদিন এবং লস্কর–ই–তৈবা এখান থেকে ভেঙেই তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খতম করার টার্গেট করেছিল এই জঙ্গি সংগঠন বলে খবর।